‘অপরাধী হলে শাস্তি পেতেই হবে, এটাই সিদ্ধান্ত’
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৪৬ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৪৪
ঢাকা: অপরাধীকে শাস্তি পেতে হবে এটাই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষায় সব থেকে প্রয়োজন আইনের শাসন নিশ্চিত করা। অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে; এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। আমরা সেইভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একদিকে যেমন মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি; এর বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এগুলো সমাজকে নষ্ট করে, ধ্বংস করে। কাজেই সমাজ থেকে এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি; এটাও প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
সম্প্রতি নারী নির্যাতনসহ চাঞ্চল্যকর কিছু ঘটনার বিচার দ্রুত কার্যকর করার জন্য বিচারবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রুত সেটার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের বিচার খুব স্বাধীনভাবে কাজ করে। সেই স্বাধীনতাও আমরা বিচার বিভাগকে নিশ্চিত করে দিয়েছি। মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায় আমরা এইটুকুই চাই।
মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তরুণরাই তো এদেশের আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই গড়ে তুলবে বাংলাদেশ এবং তারাই এই অভিযাত্রাকে আরও বেশি গতিবেগ এনে দেবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও মিয়া সেপ্পো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক ও উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় এবং অতিথিদের হাতে আলোকচিত্র তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রাম- ইউএনডিপি’র সহায়তায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।