লালমনি এক্সপ্রেসের অপেক্ষায় কমলাপুরে নির্ঘুম রাত
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৬ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৩১
ঢাকা: পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে থেকে রাত ১০টা ১০ মিনিটে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল লালমনি এক্সপ্রেসের। তবে রাত আড়াইটা পর্যন্ত কমলাপুরে এসে পৌঁছেনি ট্রেনটি।
দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার অপেক্ষার পর রাত সোয়া ২টার দিকে যাত্রীরা খবর পেয়েছেন, ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে ডিসেম্বরের এই শীতের রাতে কমলাপুর স্টেশনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে যাদের সঙ্গে বৃদ্ধ ও শিশু রয়েছে তাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে।
রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সময়সূচি অনুযায়ী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি লালমনিরহাট থেকে সোমবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সেটি ছেড়েছে বিকেল ৩টার পরে। নিয়ম অনুযায়ী রাত ১০ টার আগেই সেটি ঢাকায় পৌঁছে। কিন্তু সোমবার ট্রেন ছাড়তেই প্রায় ৬ ঘণ্টা দেরি হয়। আর সেখানেই শুরু এই বিড়ম্বনা।
গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য কমলাপুরে অপেক্ষা করছিলেন আনিসুর রহমান। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কমলাপুরে এসে টিকেট কেটেছেন তিনি। এরপর জানতে পেরেছেন যে ট্রেন দেরি করে পৌঁছবে।
দুই শিশু নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন লামিয়া রহমান। তিনি বলেন, অপেক্ষা করতে করতে তার সন্তানরা ঘুমিয়ে পড়েছে। ওয়েটিং রুমেও সব যাত্রীর স্থান সংকুলান হয় না। ফলে অনেককেই শীতের রাতে খোলা প্ল্যাটফর্মে সময় কাটাতে হচ্ছে। আর কত দুর্ভোগ পোহাতে হবে সেটাই বসে বসে ভাবছিলেন তিনি।
এক স্বজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে লালমনিরহাটে যাওয়ার জন্য টিকেটে কেটেছিলেন অর্পিতা রায় ও সুস্মিতা রাণী। কিন্তু ট্রেন দেরি হওয়ায় আদৌ বাড়ি পৌঁছে মৃত স্বজনকে শেষবারের মতো দেখতে পারবেন কি না তা নিয়েই এখন সংশয় তাদের।
ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার নজরুল ইসলাম জানান, লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি লালমনিরহাট থেকেই দেরিতে ছাড়ায় এই সমস্যা হয়েছে। তবে অন্য সব ট্রেনের শিডিউল ঠিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।