শহীদ মিনারে নেওয়া হবে অজয় রায়ের মরদেহ
৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:১১ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:১৩
ঢাকা: সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পদার্থ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক ড. অজয় রায়ের মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হবে বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ট ৩৫ মিনিটে ড. অজয় রায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, জঙ্গিদের হাতে নিহত অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অজয় রায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এ ছাড়া মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেলের সম্মানিত সদস্য ছিলেন তিনি।
অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে প্রবাসী লেখক অভিজিৎ রায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশের বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই হত্যা মামলার বাদী ছিলেন ড. অজয় রায়। গত ২৮ অক্টোবর শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি ছেলে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেন।
অজয় রায় ১৯৫৯ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের লীডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী নৃশংস গণহত্যা শুরু করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসস্থল ত্যাগ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি প্রাথমিকভাবে কুমিল্লার সোনামুড়া বর্ডারে যুদ্ধের ট্রেনিং গ্রহণ করেন এবং একাধিক অপারেশনে অংশ নেন। পরবর্তীকালে আগরতলা হয়ে কলকাতায় যান। সেখানে তিনি মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেলের সাম্মানিক সদস্য হিসবে নিয়োজিত ছিলেন।
অধ্যাপক অজয় রায় একুশে পদক, এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ পান।