দুর্নীতি মুক্ত হতে পারলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: আনিসুজ্জামান
৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৪২ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৪
ঢাকা: বাংলাদেশ দুর্নীতি মুক্ত হতে পারলে দেশ আরও এগিয়ে যেত বলে মনে করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে দুদক আয়োজিত সততা সংঘের সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এতে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে অনেক অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু আমরা দুর্নীতি মুক্ত হতে পারেনি। দুর্নীতি মুক্ত হতে পারলে দেশ আরও এগিয়ে যেত। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হলে দেশের নাগরিকদের দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব পোষণ করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে পরীক্ষায় যেন কোনো নকল না হয়। আমাদের দেখতে হবে ভর্তির সময় একজনের জায়গায় অন্যজন যেন পরীক্ষা দিতে না পারে। আমাদের দেখতে হবে ভর্তি বাণিজ্য যেন বন্ধ হয়। তাই প্রথম থেকেই আমরা যদি দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব নিয়ে গড়ে উঠতে পারি তাহলে আমরা নিজেরা দুর্নীতি করব না কাউকে দুর্নীতি করতেও সাহায্য করব না।
দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্য উল্লেখ করে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একার পক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। দুর্নীতি দূর করতে হলে সকলের সহযোগিতা দরকার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে পারলে সত্যিকার সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এ লড়াইয়ে জয়ের বিকল্প নেই। দুর্নীতিবাজদের আইনের হাতে তুলে না দেওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে। এ লড়াইয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবারই দুর্নীতি প্রতিরোধী মনোভাব থাকতে হবে।
দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ শান্তিতে ভোগ করতে দেওয়া হবে না
এর আগে সকালে দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদ্বোধনকালে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতিবাজ বা দুর্নীতি পরায়ণ যারা এবং যাদের চিন্তা চেতনায় দুর্নীতি অবস্থান করছে তাদের কাছে বার্তা থাকবে দুর্নীতির অর্থ, দুর্নীতির সম্পদ এটি তাদের নয়। এটি জনগণের সম্পদ। তাই জনগণের সম্পদ দেশে বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন জনগণের সম্পদ নিয়ে আপনি (দুর্নীতিবাজ) সুখে থাকবেন সেই সুখে থাকার ব্যবস্থা আমরা রাখব না। যেখানেই থাকুন না কেন দুদক আপনার (দুর্নীতিবাজ) পেছনে থাকবে। আপনাকে (দুর্নীতিবাজ) শান্তিতে সেই অবৈধ সম্পদ ভোগ করতে দেবে না, দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব দিলোওয়ার বখতসহ দুদকের উদ্ধতন কর্মকর্তারা।