কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস ও অপসারণে রুল
৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:১৬ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:২৯
ঢাকা: পরিবেশগত ছাড়পত্র ও সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস ও অপসারণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের অবৈধ দখল, নির্মাণ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দূষণ, পৌর বর্জ্য ও ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিক যেখানে সেখানে ফেলা বন্ধ করতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বৈআইনী ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, পরিবেশ সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, জন প্রশাসন সচিব, পানি সম্পদ সচিবসহ ২২জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির টাস্কফোর্সের সভায় কক্সবাজারের সংরক্ষিত এলাকায় ১০ তলা সার্কিট হাউজ ভবন নির্মানের সিদ্ধান্ত কেন সেচ্ছারি ও বেআইন ঘোষণা করা হবে না, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও সুয়ারেজ প্লান্ট ছাড়া কক্সবাজার পৌর এলাকায় হোটেল মোটেল রেস্তোরা মার্কেট ও বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ এবং কক্সবাজার পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মিনহাজুল হক চৌধুরী, তাকে সহযোগিতা করেন সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে সাঈদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজার জেলার সদর, মহেশখালী, টেকনাফ, রামু, চকোরিয়া, উখিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় উন্নয়ন বহির্ভূত ও সংরক্ষিত এলাকার পাহাড়, টিলা ও বনাঞ্চল দখল থেকে রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
কক্সবাজারের সাতটি উপজেলায় অবৈধ হোটেল-মোটেল নির্মাণ এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বেলা। এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ রুল জারি করেন।