Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাত মিনিট চুপচাপ বসে ছিলেন প্রধান বিচারপতি


৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:০৪ | আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৪০

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। দুইপক্ষের হট্টগোলের মধ্যে সাত মিনিট চুপচাপ বসে ছিলেন প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শুরু হলে দু’পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলে শেষমেষ এজলাস ছেড়ে চলে যান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।

শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মেডিকেল রিপোর্ট এবং শুনানির জন্য দুই সপ্তাহ সময় চান আদালতের কাছে। আদালত আগামী ১১ ডিসেম্বর মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল এবং শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বৃহস্পতিবারের (৫ ডিসেম্বর) মধ্যেই শুনানি করতে চাইলে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুরু হয়। জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ, আগে তার জামিন দেন, প্রয়োজনে শুনানি পরে হোক।

তখন আদালত জানান আগামি বৃহস্পতিবার শুনবেন। এরপর বিএনপির আইনজীবীরা কোর্টে আবার উচ্চবাচ্য শুরু করেন।

কয়েক মিনিট ধরে এই অবস্থা চলার পর আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতিসহ ছয় জন বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এ সময় আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শেইম শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন।

কোর্ট উঠে চলে গেলেও আইনজীবীরা কেউ কারও জায়গা ছাড়েনি, যে যার জায়গায় বসে আছেন। বন্ধ রয়েছে বিচারিক কাজ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দীন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপির শতাধিক আইনজীবী।

এর আগে, গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

খালেদা জিয়া বিএনপি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর