নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৪৪ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৪৫
ঢাকা: উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃর্শত ক্ষমা চান।
বিচারক মো. রফিকুল বারী আদালতকে বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ বুঝতে না পারায় এমনটা হয়েছে।
পরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন আদালত।
আদালতে বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান।
গত ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রফিকুল বারীকে তলব করেন হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ জুন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় বাদীর পিতা ৯ নং চৌদ্দশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকার কাছে মো. আতাহার আলী, সিরাজ উদ্দিন, লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়েরসহ ১৩ জন চাঁদা না পেয়ে হামলা করে। বাদী আইনজীবী হওয়ায় তার প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় সমিতির সদস্যদের কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে সে মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়তে পারবেন না।
মামলার ১ থেকে ১১ নম্বর আসামিকে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এছাড়া ৩১ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এরপরেও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বিচারক। বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আসলে ওই বিচারককে তলব করেন।
কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টপ নিউজ হাইকোর্ট