Sunday 12 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সমাজের সব ‘অসুস্থতা’ নির্মূল করা হবে: প্রধানমন্ত্রী


২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:২০ | আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৩২

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর ধরে দেশ শাসনকারীদের অপকর্মের কারণে অনেক ময়লা ও আবর্জনা জমে গেছে এবং মানুষের চরিত্রে ভাঙন ধরেছে। সমাজের এইসব ‘অসুস্থতা’ নির্মূল করা হবে।”

নিজেকে বাংলাদেশের জনগণের ‘সার্বক্ষণিক কর্মী’ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের একজন সার্বক্ষণিক কর্মী। আমি বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি যাতে শহর ও গ্রাম উভয় এলাকার মানুষ আমাদের কাজের সুফল পেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ ডিসেম্বর) স্পেনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় হোটেল ভিলা মাগনায় বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পেনে ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

“এক শ্রেণির মানুষ ঘুষ-দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে, সন্ত্রাস করে, লোকজনের সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করতে চায় এবং তারা বলতে চায় যে ‘মুই কি হনুরে’। কিন্তু আমরা চাই জনগণের মধ্যে এই ধরণের মানসিকতা থাকবে না এবং সমাজের এই অসুস্থতা নির্মূল করতে হবে। অসৎ পথে বিরিয়ানি খাওয়ার চেয়ে সৎ পথে থেকে নুন-ভাত খাওয়া ভালো। আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই শিক্ষা দিতে হবে”, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু এখন সে দুর্নাম ঘুচে গেছে। বাংলাদেশকে যাতে আর কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে না হয় সেজন্য আমরা পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে যাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কল্যাণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।’

বিএনপি সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট ও অর্থ পাচারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “ওই সময় গোটা দেশ এক নৈরাজ্যকর অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছে। জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ এবং খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ক্ষমতায় বসিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছে। তারা ‘হ্যাঁ-না’র রাষ্ট্রপতির নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, ঢাকা-১০, মিরপুর এবং মাগুরা উপ-নির্বাচনের মতো জালিয়াতির নির্বাচন করেছে। তারাই ভোট জালিয়াতির মাস্টার। আবার এখন তারা নীতিকথা শোনাচ্ছে!”

বিগত এক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। দেশের জিডিপি’র হার ৮ .১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা প্রত্যেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছি এবং আমরা চাই যে, একটি বাড়িও অন্ধকারে থাকবে না। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে আমরা ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো।’

স্পেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন।

উল্লেখ্য, কপ-২৫’র রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রোববার বিকেলে স্পেনে যান প্রধানমন্ত্রী।

টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর