৩ বিভাগে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট, জ্বালানি বিক্রি বন্ধ
১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৩৫ | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৯
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা চালু, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে তেল উত্তোলন, বিক্রি ও পরিবহণ বন্ধ রেখেছে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
ফলে ১ ডিসেম্বর (রোববার) সকালে থেকে এই তিন বিভাগের পেট্রোল পাম্পগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যান বাহন চালকরা।
রংপুর, রাজশাহী ও খুলনার বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন এই কর্মবিরতির খবর।
হিলি
সকাল থেকে হিলির পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এই এলাকার যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
কুষ্টিয়া
তেমন কোন প্রচার প্রচরণা ছাড়া এই ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী ছোটবড় যানবাহনগুলো। সকাল থেকেই শতশত মোটারসাইকেল জ্বালানি তেল নিতে গিয়ে ফিরে গেছে। কুষ্টিয়ার যাত্রীবাহী বাসের চালকরা বলছেন, রোববারের মধ্যে যদি এই সমস্যার কোনো সমাধান না হয় তাহলে সোমবার থেকে তারা আরও বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের অভাবে দূরপাল্লার সব পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে।
কুষ্টিয়া জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন বলেন, দাবি আদায় না হলে ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন তারা।
মেহেরপুর
ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে কোনো পাম্প থেকে জ্বালঅনি তেল বিক্রি হয়নি। ফলে ফিরে যেতে হয়েছে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন কিনতে যাওয়া গ্রাহকদের। সামনে বোরো মৌসুম এভাবে তেল বিক্রি বন্ধ থাকলে সবচাইতে বেশি বিপাকে পড়তে হবে কৃষকদের। কারণ একদিন পর পর ধানের জমিতে সেচ দিতে হয় তাদের।
মেহেরপুর পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নুর হোসেন আঙ্গুর জানান, এটি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। তাই দাবি না মানা পর্যন্ত তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সংবাদ: ১ ডিসেম্বর থেকে তিন বিভাগে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি ধর্মঘট