হলি আর্টিজান রায়ে সন্তুষ্ট বিএনপি: মির্জা ফখরুল
২৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৬ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৯
ঢাকা: হলি আর্টিজান মামলার রায়ে বিএনপি সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মামলার রায় ঘোষণার একদিন পর শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় দলের এই সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি। এগ্রিকালচারিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল স্মরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা মোহম্মদ নাসিম বলেছেন, হলি আর্টিজান মামলার রায়ে বিএনপি নাকি প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আমরা তো প্রতিক্রিয়া দিয়েছি। সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আমি বলেছি, এ রায়ে বিএনপি সন্তুষ্ট। এ রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’
‘কিন্তু সমস্যা তো অন্য জায়গায়। রাষ্ট্রে যদি কথা বলার সুযোগ না থাকে, মানুষের কণ্ঠ যদি রুদ্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রে এ ধরনের উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের উদ্ভব হয়। গত ১২ বছর ধরে তারা যে জোর করে ক্ষমতায় আছে এবং কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না, সে জন্যই এসব সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঘটনা ঘটার পর আমাদের নেত্রী সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন। তিনি পরিষ্কার করে বলেছিলেন, এই সংকট উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে জাতীয় ঐক্য।’
এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার আরেক আসামি নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা।
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাই। এই নৃশংস ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংকট উত্তরণে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। পরস্পরকে দোষারোপ না করে সেই প্রথম আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রধান এক সুরে কথা বলেন।
কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে সরকারের দায়িত্বশীল কয়েকজন মন্ত্রী এবং বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা পরষ্পরকে দোষারোপ করতে থাকেন। নৃসংশ ওই ঘটনার জন্য বিএনপি নেতারা সরকার এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতাকে দায়ী করতে থাকেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি। খাদ্য ঘাটতি ছিল ৮০ লাখ মেট্রিক টন। আজ লোক সংখ্যা ১৮ কোটি। খাদ্য ঘাটতি নেই বললেই চলে। এর পেছনে সব চেয়ে বড় অবদান কৃষিবিদদের। আর এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন জাবেদ ইকবাল।’
এগ্রিকালচারিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক রাশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই সিকদার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, এগ্রিকালচারিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা।
টপ নিউজ বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হলি আর্টিজান হলি আর্টিজান মামলার রায়