Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নৌপথ আরও সচল করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


২৮ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:০১

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সড়ক নির্মাণ করে যাচ্ছি, পুল-ব্রিজও করে যাচ্ছি, পাশাপাশি নৌপথ আরও সচল হোক, সেই দিকে পদক্ষেপ নিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে সরকারি বাসবভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আমরা সবসময় নৌ সেক্টরটা যেন আরও শক্তিশালী হয় সেদিকে গুরুত্ব দেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারণ বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আমাদের দেশের নৌপথ সচল রাখতে হবে। আর বিশাল সমুদ্রসীমা সেটাও ব্যবহার করতে হবে। এখন নদীগুলিও দূষিত হয়ে যাচ্ছে। সেগুলোকে আবার দূষণমুক্ত করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী চারটি উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এগুলো হলো- চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাপ্তাই থেকে নির্মিত ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরী, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈর, গাজীপুরে নির্মিত ‘ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টার’, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রদত্ত সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নতুন ৫টি জাহাজ। উদ্বোধন শেষে ভিডিও কনফারেন্সিং’র মাধ্যমে প্রকল্প এলাকাগুলোতে মতবিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে একটা বদ্বীপ, নদী বাংলাদেশের প্রাণ। আর বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার অববাহিকায়। কাজেই আমাদের এখানে নৌপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব থেকে কম পয়সায় পণ্য পরিবহন করতে পারি। আর মানুষের যোগাযোগ, যাতায়াত সব কিছুর জন্যই নদী দরকার।’

বিজ্ঞাপন

নদী ও সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকাতে বিশ্বসভ্যতা গড়ে ওঠার দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বের সভ্যতা গড়ে ওঠার দিকটা দেখি, প্রতিটি সভ্যতা কিন্তু গড়ে উঠেছে, হয় সাগর পাড় না হলে নদীর পারে। এদিক থেকে আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, আমাদের দেশে এতো নদী।’

স্বাধীনতার পর পরেই জাতির পিতা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন গড়ে তোলা থেকে শুরু করে যুদ্ধবিধস্ত দেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি শিপিং করপোরেশনের জন্য অনেকগুলি জাহাজ সংগ্রহের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত জটিলতা দূর হওয়ার কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ষড়যন্ত্রে খুলনা শিপইয়ার্ড বন্ধ করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুলনায় একটা শিপইয়ার্ড ছিল। এই শিপইয়ার্ডটা আমি এসে পেলাম মুমূর্ষু অবস্থায়। আমি শুনলাম এটা বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শও নাকি দিয়েছে কোন একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা। ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি, তখন আমাকেও সেই কথা শুনতে হয়েছিল। আমার কথা ছিল, দেশটা আমাদের। এই দেশটা আমরা গড়ে তুলব। এই দেশটাকে আমি চিনি, আমি জানি। কিভাবে কোনটা করব, সেটা আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

শিপইয়ার্ডটাকে চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি সেই সময় বাংলাদেশ নেভির হাতে শিপইয়ার্ডটা তুলে দেয়ার প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে ভবিষ্যতে যুদ্ধজাহাজও তৈরি করতে পারব। আবার জাহাজ শিল্প গড়ে উঠছে। বাংলাদেশ একসময় জাহাজ উঠত এখন বেসরকারি খাতে অনেক জাহাজ শিল্প গড়ে উঠছে। আমরা তাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও আমাদের পরিকল্পনা আছে। আমরা আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে, যেমন আমাদের বরগুনা অঞ্চল সেখানে আমরা একটি শিপইয়ার্ড নতুনভাবে তৈরি করব।’

শৈশব-কৈশোরে নদীপথ পাড়ি দেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোটবেলায় বাড়িতে যেতাম স্টিমারে করে। স্টিমারে চলার একটা আলাদা আনন্দ ছিল। কারণ স্টিমারের খাবারও খুব ভালো ছিল, নদীতে ক্ষুধাও বেশি লাগত। আর খুব মজা করে আমরা স্টিমারে চড়তাম। এখন জায়গায় সেই নদীগুলিও অনেকটা দূষিত হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো আবার দূষণমুক্ত করতে হবে। সেইদিকেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। নদীগুলো খনন করে, তার প্রবাহ বৃদ্ধি করা, পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সেই ব্যাপারেও আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।’ এই সেক্টর যাতে আরও উন্নত হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

নদীপথ শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৯

আরো

সম্পর্কিত খবর