এমপি লিটন হত্যা: ৭ জনের ফাঁসি
২৮ নভেম্বর ২০১৯ ১১:৫৫ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ১২:৪৬
গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানসহ সাত জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির অন্য আসামিরা হলেন, প্রধান আসামি আবদুল কাদের খানের একান্ত সহকারী মো. শামছুজ্জোহা, তার গাড়ি চালক আবদুল হান্নান, তার গৃহকর্মী মেহেদি হাসান, দূর সস্পর্কের ভাগ্নে ও তার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহীন মিয়া, পোশাক কারখানার সাবেক কর্মী আনোয়ারুল ইসলাম রানা এবং পলাতক আসামি চন্দন কুমার রায়। রায়ের সময় ছয় আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আরেক আসামি কসাই সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ ১৮ মাস যুক্তিতর্কের পর এই রায় দেওয়া হলো।
এমপি লিটন হত্যা মামলার রায় ঘিরে আদালতে কড়া নিরাপত্তা
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই জেলা আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়ি সুন্দরগঞ্জের সাহাবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে গুলিতে নিহত হন সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি নিহতের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলি বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
এছাড়া হত্যার কাজে ব্যবহৃত গুলিভর্তি পিস্তল উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইন মামলায় সুন্দরগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা করে পুলিশ। হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কাদের খানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে হত ১৯ নভেম্বর লিটন হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওই দিন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।
তার আগের দিন উভয়পক্ষের আইনজীবীরা তাদের শেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। এসময় মামলার সাক্ষী ও সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানসহ ছয় আসামি উপস্থিত ছিলেন।