নওগাঁয় ‘গোপন বৈঠক’, ৯ শিবির নেতাকর্মী আটক
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:২২ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:২৮
নওগাঁ: নওগাঁর পত্নীতলার একটি মক্তবে ‘গোপন বৈঠক’ করার সময় ছাত্রশিবিরের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘিরে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে ওই ‘গোপন বৈঠক’ করা হচ্ছিল।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পত্নীতলার নজিপুর আলহেরা আন-নূর ফোরকানিয়া মক্তবে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই ৯ শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়। অভিযান যৌথভাবে পরিচালনা করে নওগাঁ মডেল থানা পুলিশ ও পত্নীতলা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) হলি আর্টিজান হামলা মামলায় রায় ঘোষণা হবে। এই রায়কে বানচালে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছিলেন। নজিপুর আলহেরা আন-নূর ফোরকানিয়া মক্তবে নওগাঁ সদর থানা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ওই গোপন বৈঠক চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়ার নির্দেশে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন ছাড়া অভিযানে আটক বাকি ছাত্রশিবিরকর্মীরা হলেন— পত্নীতলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ধামইরহাট উপজেলার খেলনা গ্রামের মো. রেজোয়ান (২৮), ছাত্রশিবির সদস্য ধামইরহাট উপজেলার চক মহেষ গ্রামের মো. আনছার আলী (২০), পত্নীতলা উপজেলার পাটিচরা গ্রামের মো. সাব্বির হোসেন (২৩), বদলগাছি উপজেলার বাদ জামগ্রাম গ্রামের মো. মোত্তাকিন হোসেন (২২), হাসেন বেগপুর পশ্চিমপাড়া’র মোক্তাদির রহমান (২৪), একই গ্রামের মো. রাসেল রেজা (১৯), খোজাগাড়ি পাহাড়পুর গ্রামের মো. হোসেন আলী (২৭) এবং পোরশা উপজেলার নিতপুর কাপালির মোড় এলাকার মো. ইয়ামিন (২০)।
আটকের পর ৯ জনের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, লিমন রায়, রাকিবুল আক্তার, ফারজানা হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক ফয়সাল আহম্মেদসহ অন্যরা।
গোপন বৈঠক ছাত্রশিবির টপ নিউজ শিবিরের নেতাকর্মী আটক হলি আর্টিজান হামলা