শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মামলা গেল পিবিআই’য়ের কাছে
২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:২০
ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারের মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকদের চোর সন্দেহে ও গালিগালাজ করার অভিযোগে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান মামলার বাদী মিঞা মো. নুজহাতুল হাসানের নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ অক্টোবর শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাহাবুবুর রহমান। এরপর গত ২৪ অক্টোবর প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই দিন মামলার বাদী মিঞা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আদালতকে জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’ এর উদ্বোধনকালে মিডিয়া কর্মীসহ সরকারি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে শমী কায়সার তার দু’টি স্মার্ট ফোন হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। এরপর সেখানে শমী কায়সার উপস্থিত সাংবাদিকদের চোর বলে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে শমী কায়সার আধা ঘণ্টা গেটে দাঁড়িয়ে থেকে সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশি করান এবং তার নির্দেশে নিরাপত্তা কর্মীরা মিলনায়তনের মূল প্রবেশ দরজা বন্ধ করে দেন।
ওই ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমের ক্যামেরায় ধারণ হলে সেই ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও আসে সেই খবর।
এজাহার আরও বলা হয়, এই ঘটনা দেশের সমস্ত সাংবাদিক গোষ্ঠীসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর এবং অপমানজনক। তার এমন আচরণের প্রচার-প্রসার ও অনলাইনে বিরাজমান থাকার কারণে বাদী ও সাংবাদিক গোষ্ঠীর অপূরণীয় ক্ষতি করে আসামি প্রায় ১০০ কোটি টাকার মান-সম্মান নষ্ট করেছেন।
আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।