Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করে দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা


২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:১৫ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:২১

ঢাকা: বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। চাল, ডাল, তেল ও পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করে দাম বাড়ালে মজুতকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য বাজারে কঠোর  নজরদারি করা হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর বছরব্যাপী চাহিদা, উৎপাদন, আমদানি, মজুত ব্যবস্থা, সরবরাহ, ব্যবস্থাপনা, ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা নিয়ে এই বৈঠক আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- এফবিসিসিআই’র জরুরি বৈঠক শুরু: উপস্থিত ২ মন্ত্রী, ২ সচিব

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, শিল্প সচিব আব্দুল হালিম, খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমেদ, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে সারাদেশ থেকে আসা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিকারক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

বৈঠক শেষে শেখ ফজলে ফাহিম সাংবাদিকদের বলেন, পাবলিক ও প্রাইভেট প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সময় নির্ধারণ করে কিভাবে বিদ্যমান সমস্যগুলো সমাধান করা করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে।

বিজ্ঞাপন

ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান বলেন, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে ২৬ লাখ মেট্রিক টন। আমরা উৎপাদন করি ২৩ লাখ মেট্রিক টন। তবে বছরে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ দেশি পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। আর এ কারণে দেশে প্রতিবছর ৮/৯ লাখ টন পেয়াজ আমদানি করতে হয়। আমদানি করা পেয়াজের ৯৭/৯৮ শতাংশ ভারত থেকে আমিদানি করা হয়। এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরে ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদারি করা হয়েছে। ফলে দেশে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্যর কোনো সংকট নেই।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এনবিআর পেঁয়াজসহ আমদানি পণ্যে কবে কারা আমদানি করেছেন, আমদানিকারকরা কোথায় বিক্রি করছেন— এসব তথ্য এনবিআর সংগ্রহ করছে। কোথাও অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনবিআর চেয়ারমান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আরোপিত কর নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ কৃষিপণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক খুবই কম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে করই নেই। তিনি বলেন, লবণ, তেল, চাল, ডাল নিয়ে কোনো সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কৃষিমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে কোনো চালের দাম বাড়েনি। যতটুকু বেড়েছে, খুচরা বাজারে। দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এখন আর মোটা চাল মানুষ খায় না। চিকন চাল এখন সবাই খায়। যে কারণে চিকন চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে চিকন চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ১০টি মনিটরিং টিম বাজার মনিটরিং করছে। তাই চালের দাম দ্রুত সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি— এ কথা সত্য নয়। বরং এরই মধ্যে আড়াই হাজার ব্যক্তিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কারণে জরিমানা করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে সাজাও দেওয়া হয়েছে। তবে বাজারে বেশি কড়াকড়ি করলে কখনো কখনো তা হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই সরকার সবকিছু হিসাব করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

তিনি বলেন, ভারতের কাছ থেকে ৯০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তবে যেভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তা উচিত হয়নি। কারণ বর্ধিত দামে বিক্রি করা পেয়াজগুলো আগেই কেনা ছিল।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত কথা দিয়েছিল, মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের পর অক্টোবরে শেষ দিকে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। কিন্তু ভারত তার কথা রাখেনি। পেঁয়াজের সাময়িক সমস্যা মোকাবিলায় বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের মাধ্যমে চীন, মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম থেকে দেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। আশা করছি, তখন পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত পণ্য মজুত পণ্যের দাম বৃদ্ধি

বিজ্ঞাপন

জীবন থামে সড়কে — এ দায় কার?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২

বাসচাপায় ২ কলেজছাত্র নিহত
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর