এখনো ঢামেকে ভর্তি ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী
২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১২:০২ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:২২
ঢাকা: রাজধানীর কদমতলির শনিরআখড়ার ফাতেমা আক্তার (২৫)। গত নয়দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন তিনি। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতলে ভর্তি হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় গেল ১৪ নভেম্বর তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফাতেমার মত আরও ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। গেল ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতলটিতে ভর্তি হয়েছেন ৫ জন আর ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছেন ৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ রোবেদ আমিন এ বিষয়ে বলেন, ডেঙ্গু রোগী এখন অন্যান্য রোগের মত হয়ে গেছে। সারা বছর জুড়েই রোগী ভর্তি থাকে। শুধু সিজনের সময় সংখ্যা বাড়ে। কোন বছর এ রেগের প্রকোপ বিশি থাকে। কোন বছর আবার কম থাকে।
ডা. রোবেদ আমিন বলেন বলেন, সিটি করপোরেশন সহ সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ থাকলে এই রোগ হয়ত নিয়ন্ত্রণে রাখাে যেত। কিন্তু তারা উদাসীন বলেই বছরজুড়ে মানুষ ভুগছে। যে কারণে এখন আমরা দেখছি সারা বছরই কিছু কিছু রোগী আসছে হাসপাতালগুলোতে।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী , শুক্রবার ২৪ঘন্টায় এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯ জন রোগী। এদিন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন আরও ৬ জন। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতলে ভর্তি আছে ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী। আর বৃহস্পতিবার ঢামেকে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় ৯ জন। আর এদিন ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছে ১৭জন।
গত জানুয়ারী মাসে তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন ঢামেকে। তিনজনই সুস্থ হয়ে চলে যায়। ফেব্রুয়ারী মাসে কোন রোগী ভর্তি হয়নি। নাই। মার্চ মাসে ভর্তি হয় চারজন। চারজনই সুস্থ হয়। এপ্রিল মাসে তিনজন ভর্তি হন। তিনজনই সুস্থ হয়। মে মাসে ৮ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেও জুন মাসে তা বেড়ে ১৩৫ জনে দাঁড়ায়। এরপর থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়তেই থাকে। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসে তেরশো সাতে। রোগীর সংখ্যা কমে গিয়ে অক্টোবরে দাঁড়ায় ৬ শ ছয় জনে। নভেম্বরে ১৯ তারিখ পর্যন্ত দুইশত বিয়াল্লিশ জন রোগী চিকিৎসা নেন।
গেল জুলাই মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ হাজার ৪ শ চৌষট্টি জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে ভর্তি হন । আগষ্ট মাসে রেকর্ড ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৭ শ ৫৯ রোগী। বাদ যাননি চিকিৎসক নার্স সহ সেচ্ছাসেবকরাও।হাসপাতলের নথি অনুযায়ী , এ বছর ঢামেকে ডেঙ্গু জ্বরে ২৭ জন চিকিৎসক ২২ জন নার্স ও ১৫ জন কর্মচারি আক্রান্ত হন।