ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট করে লেখার নির্দেশ হাইকোর্টের
২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:২৫ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৬
ঢাকা: মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে কম্পিউটারে টাইপ করা একটি কপিও সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও সিভিল সার্জনদের এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এদিন কক্সবাজারের খুরুশখুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাইফুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় আদালতে।
সাইফুলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোলতান আহমদ সিরাজী। তার প্রতিবেদনটি অস্পষ্ট (পড়ার অযোগ্য) হওয়ায় আদালত স্পষ্ট অক্ষরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরিসহ প্রতিবেদনের সঙ্গে কম্পিউটারে টাইপ করা একটি কপিও সংযুক্তির নির্দেশন দেন।
এদিন আদালতে আরিফের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দাস তপন কুমার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। পরে মামলার আসামি একই স্কুলের একই শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. আরিফকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইফুলের সঙ্গে একই শ্রেণির ছাত্র আরিফের কথা কাটাকাটির জের ধরে ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাইফুলের ওপর হামলা চালায় আরিফ ও অজ্ঞাত ৫/৬ জন। আহত অবস্থায় সাইফুলকে কক্সবাজারে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি সাইফুল মারা যায়। ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থানায় মামলা হয়।
এ মামলায় কারাবন্দি আরিফ কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করে। ওই আদালত গত ১২ সেপ্টেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করে। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। এই জামিন আবেদনের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে আদালত আরিফকে জামিন দেন।