‘চালের মজুত যথেষ্ট, পরিবহন ধর্মঘটেও প্রভাব পড়বে না’
২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:২২ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৬
ঢাকা: চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, তাই দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। চলমান পরিবহন সংকটেও চালের বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের এসব বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, চলমান পরিবহন ধর্মঘটেও চালের বাজারে প্রভাব পড়বেনা। যদি না ব্যবসায়ীরা কারসাজি না করে। আর ব্যবসায়ীরা যাতে চালের দাম না বাড়াতে পারে সেজন্য মনিটরিং করতে স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, এই মুহূর্তে যে পরিমাণ চাল মজুত রয়েছে, তাতে নতুন করে আমদানির দরকার নেই বরং সরকার চাল রপ্তানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাই বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। এরপরেও যদি কোনো ব্যবসায়ী কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে পাইকারি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব সেটি মনিটর করতে। কারণ খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চালে ৫ থেকে ৬ টাকা লাভ করে বিক্রি করছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, যদি বেশি নেন তাহলে বোঝা যাবে সেবা করতে নয় তারা শোষণ করতে বসেছেন। খুচরা বাজার পাইকারদেরই কন্ট্রোল করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১১ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন শুধু সরকারি গুদামে চাল মজুত আছে। চালের দাম মনিটরিংয়ের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার আইনের মধ্য দিয়ে যা করা দরকার তা করা হবে। ভোক্তা অধিকারকে জরুরি ভিত্তিতে মাঠে মনিটরিংয়ে নামার তাগিদ দেন।
এ সময় বাজারে চালের দাম বেড়েছে স্বীকার করে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে চালকল মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, দেশের কিছু এলাকায় ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব পড়েছে। সেজন্য ধান কেনায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। যে প্রভাব সাময়িকভাবে চালের বাজারে পড়েছে।
উল্লেখ্য, টানা দুই মাস বাজারে পেঁয়াজের দাম দফায় দফায় বাড়তে থাকে। এরপর নতুন সড়ক আইন কার্যকরের অজুহাতে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে কোনো কারণ ছাড়াই লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব ওঠে। এর পাশাপাশি খুচরা বাজারে চালের দামও বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা।
খাদ্যমন্ত্রী চালের মজুত পরিবহন ধর্মঘটেও দাম বাড়বে না পর্যাপ্ত মজুত