Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি, ইসি কর্মী রিমান্ডে


১৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৩২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক নাজিম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতার নাজিম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত চারদিন মঞ্জুর করেছেন।’

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেইনে জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে নাজিমকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। মঙ্গলবার নাজিমকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।

উল্লেখ্য, লাকী নামের এক নারী গত ১৮ আগস্ট স্মার্ট কার্ড তুলতে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গেলে তার হাতে পুরনো এনআইডিতে ১৭ ডিজিটের নম্বর দেখে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে জেরার মুখে লাকী নিজের প্রকৃত নাম রমজান বিবি এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার পর টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন বলে স্বীকার করেন। ওই রোহিঙ্গা নারী ভুয়া ঠিকানা দিয়ে তৈরি করিয়েছেন ওই জাল এনআইডি। অথচ ওই ভুয়া পরিচয়পত্রের তথ্য ও নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে।

এই ঘটনার পর রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে অভিযান শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন থেকেও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি দুজন হল- জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া। জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সকৃত একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়, যেটি বিজয় ও সীমার কাছে রেখেছিলেন জয়নাল। রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের কর্মী শাহনূর মিয়া, অস্থায়ী কর্মী মোস্তফা ফারুক, মো.শাহীন, মো.জাহিদ হাসান এবং পাভেল বড়ুয়া এবং চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও মীরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন ও সর্বশেষ নাজিমসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ইসি কর্মী রিমান্ডে রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর