Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নরেন বিশ্বাস পদক পেলেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়


১৭ নভেম্বর ২০১৯ ১১:৪৯ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ১১:৫৪

ঢাকা: অনাবিল আনন্দের দিন ছিল ১৬ নভেম্বর। বাক-শিল্পাচার্য নরেন বিশ্বাসের জন্মদিন ছিল এদিন। তার নামে প্রবর্তিত নরেন বিশ্বাস পদক পেয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।

আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলনের পক্ষ থেকে এবার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়কে এই পদকে ভূষিত করা হয়। কণ্ঠশীলনের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন অসুস্থ থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তাই কণ্ঠশীলনের সহ-সভাপতি ফওজিয়া মান্নানের সভাপতিত্বে পদক প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের আড্ডাপর্বে পদকপ্রাপ্ত জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি–ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা মনোয়ার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নরেন বিশ্বাস ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দুটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। অতিথিরা মঞ্চে এলে কণ্ঠশীলনের সদস্য মাসুমা জাহান পদকপ্রাপ্ত শিল্পীকে নিয়ে শংসাবচন পাঠ করেন। এরপর কণ্ঠশীলনের সাধারণ সম্পাদক জাহীদ রেজা নূর স্বাগত বক্তব্য দেন।

আড্ডাপর্বটি ছিল খুবই আকর্ষণীয়। মুস্তাফা মনোয়ার শুরু করেন আলাপচারিতা। তিনি রবীন্দ্রনাথ থেকে উদাহরণ টেনে আনেন। ভাষা ও মায়ের ভাষা নিয়ে কথা বলেন। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় যে শিক্ষক বা প্রশিক্ষক নন, বরং কথা বলেই মনের ভিতর ঢুকে যেতে পারেন, সে কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

হাবিবুল্লাহ সিরাজী আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে বলেন, রবীন্দ্র–পরবর্তী যুগেও বাংলা ভাষা নিয়ে যে কাজগুলো হচ্ছে, তাতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।

রূপা চক্রবর্তী বলেন, ‘জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আসলে আবৃত্তি সম্রাট। তিনি আমাদের ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিলেন। আবৃত্তি যে একটি চর্চার ব্যাপার, সেটা বুঝিয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।’

বিজ্ঞাপন

আলোচনা পর্বের পর ছিল জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের রচনা থেকে তৈরি করা কণ্ঠশীলনের প্রযোজনা। ‘শিল্পযুদ্ধে আমি তো কর্ণ’ নামে প্রযোজনাটির নির্দেশনা দেন রইস উদ্দীন আহমেদ স্বপন। অংশ নেন জহিরুল হক খান, প্রদীপ কুমার আগারওয়ালা, ইসরাত জাহান, মৌসুমী রায় চৌধুরী, মায়মুনা মিলি, শিল্পী রায় ও মাসুদ হোসেন।

এরপর আবৃত্তি অঙ্গনের বিশিষ্ট শিল্পীরা করেন একক আবৃত্তি। আবৃত্তিশিল্পীরা হলেন ডালিয়া আহমেদ, বেলায়েত হোসেন, মাসকুরে সাত্তার কল্লোল, মাহমুদি আখতার, আবু নানের মানিক, মাসুম আজিজুল বাশার, ইভা মণ্ডল ও এনায়েত কাজল।
অনুষ্ঠান শেষ হয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে।

এরপর জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়কে মঞ্চে নিয়ে আসা হয় এবং তার সঙ্গে সবাই ছবি তোলে। সে সময় যে আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়, তা বহুদিন মনে থাকবে কণ্ঠশীলনের সদস্যদের।

আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় নরেন বিশ্বাস পদক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর