Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে অর্থসংস্থানের প্রবেশাধিকার সহজের আহ্বান


১৪ নভেম্বর ২০১৯ ২১:৩১

ঢাকা: উন্নয়নশীল দেশের দিকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর টেকসই উত্তরণ ও এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানে প্রবেশাধিকার অবারিত ও সহজ করার ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণকালীন অর্থসংস্থানে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ দলের সভায় তিনি একথা বলেন। জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের উচ্চ প্রতিনিধির কার্যালয় এবং উন্নয়ন নীতি কমিটি (সিডিপি) দু’দিনব্যাপী এই সভার আয়োজন করে। সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।

বিজ্ঞাপন

সভায় রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ অভিমুখে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার নানা চিত্র তুলে ধরেন তিনি। তার বক্তবে উঠে আসে, প্রথমবারের মতো এলডিসি থেকে বিপুল মার্জিন নিয়ে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন; দারিদ্র্য ও অতি-দারিদ্রের হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, বয়স্ক শিক্ষাসহ শিক্ষার হার বৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি; জিডিপিতে শিল্প, কৃষি ও সেবা খাতের অবদান, ব্যস্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা; বাজেটের মূলভাগে জলবায়ু পরিবর্তন রোধবিষয়ক কর্মসূচি অন্তর্ভুক্তি, দেশব্যাপী সামাজিক নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি আইটি পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, লিঙ্গ সমতা অর্জন, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ এর উন্নয়ন এজেন্ডার মতো বিষয়গুলো।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উদার ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে অর্থ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সফলতার সাথে এমডিজি বাস্তবায়ন করেছে। এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত ও সফলভাবে এসডিজি বাস্তবায়ন উভয়ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা উল্লেখ করে তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন ও সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সমস্যাকে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি বড় হুমকি বলেও মন্তব্য করেন অর্থ সচিব।

বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বার্ষিক অতিরিক্ত ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উত্তরণকালীন সময়ে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

সভাটিতে আরও অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি তাঁর বক্তবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর ফলে শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, সার্বিকভাবে নিরাপত্তা, পরিবেশ ও সামাজিক বিন্যাসে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’

সভায় ‘জলবায়ু অর্থায়নে অধিক প্রবেশাধিকার’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটান ও সলোমন আইল্যান্ড উত্তরণকালীন অর্থসংস্থান বিষয়ক কেস স্টাডি তুলে ধরেন। প্যানেল আলোচনার মডারেটর ছিলেন বাংলাদেশের সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ এর পরিচালক ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য।

এদিকে সভার প্রথম দিনে ‘ওডিএ পরিপ্রেক্ষিত’ এবং ‘বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক আরও দুটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সব আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে ও প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচক ও প্রশ্নকারীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অনুকরণীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মিশনের ইকোনমিক মিনিস্টার ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন।

অবারিত অর্থ সচিব অর্থসংস্থান টপ নিউজ প্রবেশাধিকার সহজ

বিজ্ঞাপন

সাভারে তিন গাড়িতে আগুন, নিহত ৪
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর