পদত্যাগ করলেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস
১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:২১ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৬
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) দেশটির সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধানের চাপে তিনি পদত্যাগ করলেন।
বলিভিয়ায় গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠে। কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ভোট গণনা চব্বিশ ঘন্টার জন্য স্থগিত রাখা হয় ওই নির্বাচনে। বিরোধীদের দাবি, গণনা স্থগিতের আগে প্রতিপক্ষের চেয়ে সামান্য এগিয়ে ছিলেন ইভো মোরালেস। তবে চব্বিশ ঘণ্টা স্থগিত রাখার পর আবার গণনা শুরু হলে দেখা যায় ভোটে অনেকটাই এগিয়ে মোরালেস।
এর পরপরই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনে বিরোধীরা। কারচুপির অভিযোগে লা পাজে শুরু হয় নির্বাচন বাতিলের আন্দোলন। তবে কারচুপির অভিযোগ শুরু থেকে অস্বীকার করে আসছিলেন ইভো মোরালেস।
ভোটে কারচুপির অভিযোগে লা পাজে বিক্ষোভ-অবরোধ দিন দিন বাড়তে থাকলে বেশ চাপে পড়েন মোরালেস। রোববার অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ অক্টোবরের নির্বাচনে কারচুপির পরিষ্কার প্রমাণ পেয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। ওএএস ওই নির্বাচন বাতিল করার আহ্বান জানায় প্রেসিডেন্টকে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের এ আহ্বানের পরপর রোববার দিনভর একে একে রাজনৈতিক জোটসঙ্গীরা সরকার থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করেন। এর পর প্রেসিডেন্টকে দেশটির সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধান পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক সঙ্গী ও সামরিক শক্তি হারিয়ে মোরালেস পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট মোরালেসের ঘোষণার পরপর ভাইস-প্রেসিডেন্ট গার্সিয়া লিনেরাও পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। বলিভিয়ার সংবিধান অনুযায়ী এখন সিনেটের সভাপতি ৩০ বছর বয়েসি আদ্রিয়ানা সালভাতিয়েরা আরিয়াজা দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
মোরালেস লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। তিনি বলিভিয়ার প্রথম অধিবাসী প্রেসিডেন্ট। ২০০৬ সালে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইভো মোরালেস। এরপর প্রতিটি নির্বাচনে জয় পান তিনি।