নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নে সময় বাড়ল আরও ৭ দিন
৭ নভেম্বর ২০১৯ ১২:৪৫ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৮
ঢাকা: নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নে আরও সাত দিন সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সড়ক আইন প্রয়োগে সবকিছু নিয়ে আঁটঘাঁট বেঁধে নামতে হবে: কাদের
নতুন আইন কার্যকর নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় ওবায়দুল কাদের জানান, শুরুতে এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়েছিল সচেতনতা সৃষ্টির জন্য। এবার আরও এক সপ্তাহ সময় একই কারণে বাড়ানো হলো। এরপর থেকে কঠোরভাবে আইন বাস্তবায়নে কাজ করা হবে।
এছাড়া আইনের বিধি প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনটি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের পর পরই সারাদেশের সড়ক পরিবহনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিল পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। এজন্য সরকারকে ভারসাম্য রেখে চলতে হয়। প্রধানমন্ত্রী এখন যা চান তা পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বুঝেছেন। এবং আমিও আছি।
আইনটি কার্যকর করতে বিআরটিএর সক্রিয় ভূমিকা থাকবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে জনবল চাওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহনের নতুন আইন কার্যকর করার আগে এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়েছিলে। যাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়। মূলত কঠোর আইন প্রয়োগের আগে আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন। তাই তাদের সচেতনতা বাড়াতে আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হলো। এরপর থেকে আইনটি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।
এ সময় মিরপুর এবং ইকুরিয়া বিআরটিএ কার্যালয়কে দালাল মুক্ত করতে নতুন চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এখানে ওখানে ট্রান্সফার করেও যারা সৎ পথে আসেনি এদেরকে বাদ দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক তদবির এলাও করি না। প্রথম যখন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাই তখন তদবিরে আমার ঘুম হারাম হয়েছিল। এখন তদবির আর আসেনা। এ ধরণের তদবিরকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। স্বচ্ছ সুনামের ধারা বিআরটিএতে ফিরিয়ে আনতে হবে।
আর বিআরটিএতে কোনো টেন্ডারের সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙ্গে দিতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, নতুন এই সড়ক আইন প্রয়োগের আগে সবকিছু শেষ করেই মাঠে নামতে হবে। এজন্য নগরের ফুটপাতসহ পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে।