কিআ অনুষ্ঠানে কিশোরের মৃত্যু, শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি
২ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:০৮ | আপডেট: ২ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৩
ঢাকা: কিশোর আলোর আনন্দ আয়োজনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে জড়ো হতে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের অভিভাবকরাও উপস্থিত হতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি পেশ করেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের কাছে।
আরও পড়ুন- আবরারকে মহাখালীতে হাসপাতালে নেওয়া হলো কেন, প্রশ্ন সহপাঠীদের
কলেজের প্রভাতী শাখার একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইহতেশালুম শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের কাছে চার দফা দাবি পেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো— ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করতে হবে; অনুষ্ঠানের অব্যবস্থাপনার দায় স্বীকার করে কিশোর আলো, অনুষ্ঠানের আয়োজক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত বিবৃতি দিতে হবে; ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ করতে হবে; এবং কেবল দুর্ঘটনা নয়, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে পত্রিকায় বিবৃতি দিতে হবে।
আরও পড়ুন- কিশোর আলোর আনন্দ আয়োজনে লাশ হয়ে ফিরলো আবরার
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, আবরার মারা যাওয়ার জন্য কিশোর আলোর আনন্দ আয়োজনের আয়োজক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাই দায়ী। এমন একটি দুর্ঘটনার পরও অনুষ্ঠান অব্যাহত রাখার মানসিকতা নিন্দনীয়। একটি শিক্ষার্থীর জীবনের তুলনায় অনুষ্ঠানকেই আয়োজক কর্তৃপক্ষ বড় করে দেখেছে বলেও অভিযোগ তাদের।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, শিশুটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কাছের কোনো হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দ্রুত শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে হয়তো তাকে এই পরিণতি বরণ নাও করতে হতে পারত।
আরও পড়ুন- কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: থানায় অপমৃত্যুর মামলা
শুক্রবার (১ নভেম্বর) কিশোরদের ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার (১৫)। পরে তাকে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবরার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির (দিবা) ‘গ’ শাখার শিক্ষার্থী ছিল। তার কলেজ নম্বর ৮৭১২। শুক্রবার রাতে কলেজ প্রাঙ্গণেই জানানা শেষে আবরারের লাশ তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।