স্পেনে ধর্ষণ মামলার রায় নিয়ে বিতর্ক
১ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৯
এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের অপেক্ষাকৃত লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে বিক্ষোভ-সমাবেশ হচ্ছে স্পেনে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের মতে, পাঁচ আসামি এক নারীকে ধর্ষণ করলেও আদালত শুধু ‘যৌন হামলার’ অভিযোগ গণ্য করে দোষীদের শাস্তি দিয়েছেন।
কারণ ধর্ষণের শিকার হওয়ার সময় ওই নারী ‘অচেতন’ ছিলেন। স্পেনের আইন মতে, ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক না হলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হয় না।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে আসামিদের ১৫ থেকে ২০ বছর শাস্তি হতো। কিন্তু বিষয়টি ‘যৌন হামলা’ গণ্য করায় তাদের শাস্তি হয়েছে ১০ থেকে ১২ বছর। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ১২ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৬ সালে স্পেনের মানরিসাতে একটি অনুষ্ঠানে মদ খেতে ‘বেহুঁশ’ হয়ে পড়েন ওই নারী। এই সুযোগে অভিযুক্তরা তাকে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী নারী আদালতে জানিয়েছেন, তিনি ধর্ষণের ঘটনা তেমন মনে করতে পারছেন না। তবে ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হয়।
এর আগে একই ধরনের একটি ধর্ষণ মামলায় লঘু দণ্ড দেওয়া হয় আসামিদের। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের শাস্তি ৯ বছর থেকে বাড়িয়ে পনের বছর করে স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট। যেটি ‘ওলফ প্যাক’ মামলা নামে পরিচিত।
বর্তমান রায়ের পর মানবাধিকার কর্মীরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। হয়েছে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশ। স্পেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা ধর্ষণ বিষয়ক আইন পর্যালোচনা করছেন।