ক্যাসিনো কাণ্ডে ওএসডি: খবরের প্রতিবাদ বিআরটিএ চেয়ারম্যানের
২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৪১ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:১৯
ঢাকা: ‘ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত থাকায় ওএসডি বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার’ শিরোনামে গত ২৩ অক্টোবর সারাবাংলায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল তার একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিআরটিএ থেকে অপসারিত চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান।
সারাবাংলায় প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়- ধানমণ্ডি ক্লাবে ক্যাসিনো কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানকে। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনসহ নানা বিষয় নিয়েও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান প্রতিবাদপত্রে বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে আমাকে পিআরএলে পাঠানোর উদ্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ওএসডি চিঠি ইস্যু করা হয়। আমি এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করি। হাইকোর্ট আমার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্থিতিবস্থা দিলে ওএসডির চিঠির কার্যকারিতা লোপ পায়। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আপিল করলে ৬ অক্টোবর মামলাটি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য লিস্টে ওঠে। চেম্বার জজ আদালত ২৪ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। এর ফলে ২২ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগের ওএসডি চিঠিটি কার্যকর করে। আমি ২৩ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি।’
মশিয়ার আরও বলেন, ‘সারাবাংলার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় আমার বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনসহ নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হলো- ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন কোনোটিই আমি ইস্যু করি না। এগুলো সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা করেন। কাজেই আমার বিরুদ্ধে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অসত্য বটে।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য: বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানকে ওএসডি করার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্ত সূত্র সারাবাংলাকে জানায়, ক্যাসিনো ক্লাবে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাকে ওএসডি করা হয়।
সেতু মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র জানায়, মশিয়ার রহমান মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি ক্লাবে যেতেন। তিনি সেখানে জুয়া খেলতেন। এছাড়া ওই ক্লাবের জুয়াড়িদের তালিকায় তার নামও রয়েছে। এই কারণে তাকে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে ওএসডি করা হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনসহ নানা বিষয় নিয়েও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিবেদক জানান, বিআরটিএ’তে কোনো অনিয়ম বা অসঙ্গতি দেখা দিলে তার প্রধান হিসেবে এই দায় মশিয়ার রহমানের ওপর বর্তায়। এছাড়া সম্প্রতি ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে দরপত্রে অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তিনি বাড়তি শর্ত আরোপ করেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর বিআরটিএ চেয়ারম্যান ওই শর্তের বিষয়টি শিথিল করেন।