Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জান্নাতিকে হত্যার দায় স্বীকার গৃহকর্ত্রীর, ধর্ষণের কথা অস্বীকার


২৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৪৮ | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৫৩

ঢাকা: গৃহকর্মী জান্নাতিকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভীন। তবে ময়নাতদন্তে জান্নাতিকে ধর্ষণের তথ্য বেরিয়ে এলেও সে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। গৃহকর্তা প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ কেন পলাতক রয়েছেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য জবানবন্দিতে দেননি তিনি।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতে জান্নাতিকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন গৃহকর্ত্রী রোকসানা। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, জান্নাতিকে ঘটনার দিন মারধর করেছেন। এরপর অজ্ঞান অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা মেঝেতে পড়ে ছিল জান্নাতি। পরে রাত ১১টার দিকে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা জান্নাতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোকসানাকে আদালতে হাজির করার পর তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবনাবন্দি দিতে সম্মত হন। তা রেকর্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম বলেন, রোকসানা পারভিনের স্বামী পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পিরোজপুর জেলায় কর্মরত। ঘটনার দিন তিনি মোহাম্মদপুর এলাকায় স্যার সৈয়দ রোডের বাসায় পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন। তার সঙ্গে স্ত্রী ছাড়াও ছিল সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে। ঘটনার দিন জান্নাতিকে গৃহকর্ত্রী মারধর করেন। তবে ফরেনসিক চিকিৎসক পুলিশকে জানিয়েছে, জান্নাতি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্নও পেয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

বিজ্ঞাপন

রোকসানার স্বামীর পলাতক থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক বলেন, গৃহকর্তা প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

এর আগে, ২২ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে জান্নাতিকে অচেতন অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভিন। তাকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে তিনি চলে যান। পরদিন পুলিশ তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথম দিন পুলিশের কাছে রোকসানা হত্যার কথা স্বীকার না করে মিথ্যা তথ্য দেন রোকসানা, বলেন— জান্নাতি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। ওই রোগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

পরে ২৪ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় জান্নাতির মরদেহ ময়নাতদন্ত করলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার গৃহকর্ত্রী রোকসানাকে গ্রেফতার করে। তবে তার স্বামী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ পলাতক রয়েছেন।

জান্নাতির বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার তেলেআটা গ্রামে। পুলিশ তার পরিবারকে খবর দিলে পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার এসে জান্নাতির মরদেহ গ্রহণ করেন।

গৃহকর্ত্রীর দায় স্বীকার গৃহকর্মীকে হত্যা টপ নিউজ দায় স্বীকার ধর্ষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর