আবরার হত্যা: অমিত সাহা ও আরেফিন কারাগারে
২০ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৪৬
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অমিত সাহা ও শামসুল আরেফিন রাফাতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
এদিন আবরার হত্যা মামলার এ আসামিদের দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়াহিদুজ্জামান। মামলার স্বার্থে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার প্রার্থনা করেন তিনি ।
এর আগে গত ১১ ও ১৭ অক্টোবর অমিত সাহার পাঁচ ও তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। অন্য আসামি শামসুল আরেফিন রাফাত গত ৯ অক্টোবর পাঁচ দিন ও ১৫ অক্টোবর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে ঘটনার সময়ে শেরেবাংলা হলের ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য আলামত থেকে ১৯ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আবরার হত্যায় তার বাবা বরকত উল্লাহও চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি হিসেবে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের প্রত্যেকেই বুয়েটের শিক্ষার্থী ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন— মেহেদী হাসান (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৩তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৪তম ব্যাচ), অনীক সরকার (১৫তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশারফ হোসেন সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ, ১৬তম ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোজাহিদুল (ইইই, ১৬তম ব্যাচ), তানভীর আহম্মেদ (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ) , জিসান (ইইই, ১৬তম ব্যাচ), আকাশ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), শাদাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), তানীম (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ) ও মোয়াজ, মনতাসির আল জেমি (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিভাগ)।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।