‘পেঁয়াজ ন হাইয়ূম, ন কিইন্যুম’ প্রচারে আ.লীগ নেতা
২০ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:১৩ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ এনে পেঁয়াজ খাওয়া ও কেনা বাদ দেওয়ার ব্যতিক্রমী প্রচারণা নিয়ে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতা। কর্মসূচির শিরোনাম- ‘পেঁয়াজ ন হাইয়ূম, ন কিইন্যুম’ (পেঁয়াজ খাবো না, কিনবো না)।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারী বাজারে ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের’ ব্যানারে এই গণপ্রচারণা শুরু করেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তিনি সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা।
প্রচারণা সমাবেশে সুজন বলেন, ‘ভারত থেকে যেদিন পেঁয়াজ সরবারহ বন্ধ ঘোষণা করল, সেদিন থেকে হঠাৎ দাম বেড়ে গেল। ম্যাজিস্ট্রেটরা যতক্ষণ বাজারে থাকেন, ততক্ষণ দাম কম থাকে। ম্যাজিস্ট্রেট বের হলে আবার দাম বেড়ে যায়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাজার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আমাদের জানালেন, পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। অথচ দাম বাড়ছে। কারা বাড়াচ্ছে? অশুভ সিন্ডিকেট। তারাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে খাদ্যতালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়ে আমরাও পেঁয়াজ না খাওয়ার এবং না কেনার কর্মসূচি শুরু করলাম। এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের এই স্বেচ্ছাচারিতা আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমরা চট্টগ্রাম শহরের প্রত্যেক বাজারে যাব এবং এই প্রচারণা চালাব। জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি, তাহলেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।
তিনদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে না এলে এই কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের নাম গণমাধ্যম এবং উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শনের ঘোষণা দিয়ে তাদের সামাজিকভাবে বর্জনের আহ্বান জানানো হবে বলে জানান সুজন।
গণপ্রচারণা কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক উদ্যোগের হাজী মো. ইলিয়াছ, সুকুমার দত্ত, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলম, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু এবং ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান রাজন ও ইমরান আহমেদ ইমু।