ব্রেক্সিট: স্বাক্ষর ছাড়া চিঠিতে সময় চাইলেন বরিস
২০ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৪৬ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ১২:১২
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিটের সময় বাড়াতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে চিঠি পাঠাতে বাধ্য হলেন। তবে একটি আইন মানতে গিয়ে বাধ্য হয়ে পাঠানো এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি তিনি। এর পরপরই আরেকটি চিঠি পাঠান বরিস, যেখানে তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে জানান, ব্রেক্সিটের জন্য সময় বাড়ানো একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে। তবে পরের চিঠিতে স্বাক্ষর ছিলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। খবর বিবিসির।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ব্রেক্সিট ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সে একটি সংশোধনী প্রস্তাবের উপর ভোট হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সংশোধনীটির পক্ষে তাদের রায় জানায়। এর ফলে আগের একটি আইনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর আবেদন করতে বাধ্য হলেন। টানা দুই দফা সময় বাড়ানোর পর এ মাসে ৩১ তারিখ ব্রেক্সিট কার্যকরের শেষ দিন বেঁধে দিয়েছিলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এই চিঠি পেয়েছেন বলে এক টুইটে জানিয়েছেন। ইইউ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
৩৭ বছর পর শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কোনও অধিবেশন বসলো। কারণ এদিন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বরিস জনসনের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিলো। তবে এর আগে এই অধিবেশনে ব্রিটিশ এমপি অলিভার লিউটেনের আনা একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। আর এতে বলা হয়, ব্রেক্সিট চুক্তির আগে প্রয়োজনীয় আইন পাস করতে হবে। ব্রিটিশ এমপিরা অলিভার লিউটেনেনের এই প্রস্তাবে সাড়া দেন। তার এ প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাস হওয়ায় এদিন বরিস জনসনের ব্রেক্সিট প্রস্তাবের ওপর আর কোনও ভোট হয়নি।
অলিভার লিউটেনের প্রস্তাব পাস হওয়ায় আগের একটি আইন মানতে বাধ্য হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বেন অ্যাক্ট নামের ওই আইনে বলে হয়েছে, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করতে হবে সরকারকে। আর তা না পারলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকরে পার্লামেন্টের অনুমোদন পেতে হবে এদিন। দুটির কোনটাই করতে ব্যর্থ হলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে আরও সময় চেয়ে চিঠি পাঠাতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
তবে যত দ্রুত সম্ভব ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চান বরিস জনসন। ব্রেক্সিটের জন্য আর সময় চাইবেন না বলে এর আগে একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি। এবারও ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে নাছোড়বান্দা তিনি। শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের কারণে আইন মেনে ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর জন্য ইইউ এ চিঠি পাঠালেও এর পরপরই তিনি ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের কথাও আরেকটি চিঠিতে জানিয়ে দেন।
রয়টার্স জানায়, তাদের সূত্রমতে শনিবার ডোনাল্ড টাস্কের নিকট মোট তিনটি চিঠি পাঠান বরিস জনসন। একটি চিঠিতে পাঠিয়েছেন গত মাসে পাস হওয়া বেন অ্যাক্ট নামক আইনের হুবুহু অনুলিপি। এর সঙ্গে একটি চিঠিতে আইন মেনে সময় চেয়েছেন তিনি। এরপর শেষ চিঠিতে তিনি জানান, আইন মেনে সময় চাইতে বাধ্য তিনি। তবে তিনি মনে করেন সময় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।