Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ক্যাসিনোকাণ্ড: ৪৩ জনের বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক


১৪ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৩৬ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩২

ঢাকা: ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত ৪৩ জনের দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুদক কাযার্লয়ে কমিশনের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের একথা জানান।

দিলোয়ার বখত বলেন, ‘এরই মধ্যে ৪৩ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সম্পদের বিবরণী নেওয়া হচ্ছে। ক্যাসিনোর মাধ্যমে যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সম্পদের আয়ের উৎস যদি সঠিকভাবে না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা হতে পারে।’

যে ৪৩ জনের তথ্য পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-যুবলীগের ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট,ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ,খালিদ মাহমুদ চৌধুরী,মোহামেডান ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া,তার স্ত্রী, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ঠিকাদার ও যুবলীগ নেতা জি কে শামীম, শামীমের স্ত্রী শামীমা সুলতানা, মা আয়েশা খাতুন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোল্লা আবু কাওসার, ইয়ংমেনস ক্লাবের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, রাজিব, ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধান, এনামুল হক ওরফে আরমান, মোহাম্মদপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাই ও উৎপল কুমার দে, নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম, জি কে শামীমের ক্যাশিয়ার যুবলীগের সোহেল,সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে দুদক সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ফ্ল্যাট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। ক্যাসিনো বন্ধে অভিযান শুরুর পর এই ব্যবসায় জড়িত যুবলীগসহ সরকার দলীয় অনেক নেতার নাম আসতে থাকে। গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজনকে। অভিযানকালে ক্যাসিনোয় জড়িতদের বাসায় পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ অর্থ।

এর মধ্যে ক্যাসিনোয় জড়িতদের অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। গেল সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সাথে বৈঠক হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) মহাপরিচালকের সাথে। ক্যাসিনোয় জড়িতদের বিষয়ে দুদককে বেশকিছু তথ্য দেয় র‌্যাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংক।

অনুসন্ধানে সম্রাটের মালয়েশিয়ার আমপাং তেয়ারাকুণ্ডতে ফ্ল্যাটের তথ্য পেয়েছে দুদক। মালয়েশিয়া সরকারের সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট কিনেন সম্রাট। এছাড়া মালেয়শিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকেও তার লেনদেনের তথ্য রয়েছে।

সম্রাট ছাড়াও ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত ৪২ জনের তথ্য এখন দুদকের অনুসন্ধান টেবিলে। ক্যাসিনোর পাশাপাশি তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে।

ক্যাসিনোকাণ্ড টপ নিউজ টিপ নিউজ দুদক সম্পদের তথ্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর