Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যারা পারমাণবিক জ্বালানি আনবে তারাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে


১৪ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:২০ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১০

ঢাকা: যেসব দেশ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি আনা হবে তারাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে। এমন বাধ্যবাধকতা রেখে ‘তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতি’র খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই নীতির মাধ্যমে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হবে।

পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক মানের এই নীতিমালা করা হয়েছে। যাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণকে কেন্দ্র করে পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়তে পারে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের আদলে তৈরি করা খসড়া নীতিমালায় পারমাণবিক জ্বালানির পরিমাণ যুক্তিসংগতভাবে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেসব দেশ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি সংগ্রহ করা হবে, নীতিমালা অনুযায়ী তারাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেহেতু রাশিয়া নির্মান করছে, সেহেতু রাশিয়াই নিজ দেশে নিয়ে এই বর্জ্য ধ্বংস করবে।

এছাড়া মন্ত্রিসভা, জাহাজ আগমন ও প্রত্যাগমনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাতিঘর মাশুল দেওয়ার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর আইন’ নামে একটি নতুন আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে। সেখানে জাহাজ কোম্পানিগুলোকে বাতিঘরের মাশুল দিতে বাধ্য করা হয়েছে। যেসব কোম্পানি মাশুল দেবেনা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে কি পরিমাণ মাশুল কোন পর্যায়ে গুনতে হবে, তা গেজেটে বলা থাকবে।

বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল’ আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সেখানে গবেষণা, প্রকৌশল সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি আমদানি বাণিজ্যিকীকরণ, আত্মীকরণ, অভিযোজনের কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রীসভা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর