Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনা হল খুলে দিতে চবি ছাত্রীদের অবস্থান কর্মসূচি


১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:২৫ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৩৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) জননেত্রী শেখ হাসিনা হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন হলের সংযুক্তি পাওয়া ছাত্রীরা। এসময় দুই দফা দাবিও তুলে ধরেন তারা।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা হলের মূল ফটক অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে সরে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের হাতে প্ল্যাকার্ডে স্লোগান লেখা ছিল ‘অন্যের হলে সিট খুঁজি, আমরা কি সব রিফিউজি ‘, ‘Hang on the Notice Today’, ‘প্রশাসনের মিথ্যা আশ্বাস আর কত?’, ‘দিয়ে দাও ফলাফল, খুলে দাও শেখ হাসিনা হল’।

শিক্ষার্থীরা দাবি দু’টি হলো— ১৪ অক্টোবরের মধ্যে হলের সাক্ষাৎকারের ফল দিতে হবে এবং আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে যার যার বরাদ্দ করা বৈধ সিটে ওঠার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন সারাবাংলাকে বলেন, ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা হল’ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের চার বছর পরও এখনো হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এপ্রিল মাসে আমরা মানববন্ধন করেছি। সেসময় উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী স্যার বলেছিলেন, দুই মাসের মধ্যে হলের ফরম ছেড়ে দেবো। কিন্তু সেই ফরম এখনো দেওয়া হয়নি। এরপর আবার আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সেই আন্দোলনের পর সাক্ষাৎকারের তারিখ দিলেও সেই তারিখ তিন বার পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সেই সাক্ষাৎকারের ফল এখনো দেয়নি প্রশাসন। ফলে হলটিতে সংযুক্তি পাওয়া ছাত্রীরা হলে উঠতে পারছে না।

বিজ্ঞাপন

চবি প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন— কোন সময়ে সিট দেওয়া হবে? কোন সময়ে সাক্ষাৎকারের ফল দেওয়া হবে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে হলে সিট বরাদ্দ বিষয়ক সাক্ষাৎকারের ফল দেওয়ার চেষ্টা করব। ওই তারিখের মধ্যে ফল দেওয়া সম্ভব না হলে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ফল দেওয়া হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ৫ নভেম্বরের মধ্যে হলে উঠতে পারবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিমও সারাবাংলাকে বলেন, ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সম্ভব না হলে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ফল দেওয়া হবে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা হল’ উদ্বোধন করেন। সে বছর থেকেই হলে শিক্ষার্থীদের সংযুক্তি দেওয়া শুরু হয়। পরের বছরগুলোতেও সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। টানা চার বছর ধরে হলে ছাত্রীদের সংযুক্তি দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি চবি প্রশাসন। এ বছরের এপ্রিল মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রশাসন হলের আসন বরাদ্দের আবেদন ফরম দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু পরে সিট বরাদ্দের সাক্ষাৎকার নির্ধারিত সময়ে নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, প্রথম দফায় সাক্ষাৎকারের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয় এ বছরের ২৩ জুন থেকে ২৫ জুন। কিন্তু সেই তারিখ পিছিয়ে আবার চলতি বছরের ৯ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত তারিখ ঠিক করে দেওয়া হয়। পরিবর্তিত ওই তারিখেও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নামলে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।

বিজ্ঞাপন

সাক্ষাৎকার নেওয়ার প্রায় একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তার ফল দিতে পারেনি চবি প্রশাসন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবি শিক্ষার্থী জননেত্রী শেখ হাসিনা হল শেখ হাসিনা হল হল খুলে দেওয়ার দাবি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর