Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জামিন পেলেন বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন


১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:২৫ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:০৬

ঢাকা: বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে (বীরবিক্রম) ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন  ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম। আগামী ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।

রোববার (১৩ অক্টোবর) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার করা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে এ  আদেশ দেন আদালত। শুনানিতে  আদালতে হাজির করা হয় এই বিএনপি নেতাকে।

এর আগে দুপুরে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান, হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণও মেজর হাফিজের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

এসময় আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ও মিরাজ হোসেন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, একটি ইমেইল পাঠানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনো কিছু উদ্ধার হয়নি। যে মানুষটি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কাজ করেছেন, তিনি কিভাবে সরকার, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়ান? মেজর হাফিজ সাবেক মন্ত্রী, বহুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আসামির বিরুদ্ধে কিছু না জেনে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

আইনজীবীরা আরও বলেন, তার (হাফিজ উদ্দিন) হাঁটুতে সমস্যা রয়েছে। অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছেন না। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তিনি। জামিন পেলেও তিনি পলাতক হবেন না। তাই আমরা তার রিমান্ড বাতিলের পাশাপাশি জামিনের প্রার্থনা করছি।

বিজ্ঞাপন

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর আগে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ।

মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, শনিবার (১২ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে, গত ২ মে দুপুর ১১টা ৫৭ মিনিটের দিকে কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ান (৬৩) তার মিরপুরের বাসা থেকে তার ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে একটি খুদে বার্তা পাঠান। পরে কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই কাজে মেজর হাফিজ উদ্দিন এবং ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনসহ অনেকেই জড়িত রয়েছেন। বিষয়টি রাষ্ট্রের সার্বোভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে জানায় পুলিশ।

এজাহারে বলা হয়েছে,  ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য সরকারী সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য ইমেইলে তিনি পাঠান। তার ওই কাজে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটনানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। আসামির এমন কার্যকলাপ সামরিক বাহিনীতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করার হীন প্রচেষ্টা।

এ বিষয়ে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মুস্তাক আহমেদ জানান, সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মেইলে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আদান প্রদানের অভিযোগে দুপুরে তাদের নামে মামলা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেজর হাফিজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতা রিমান্ড হাফিজ

বিজ্ঞাপন

বাসচাপায় ২ কলেজছাত্র নিহত
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর