শুধু ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ করা উচিত ছিল : প্রগতিশীল ছাত্রজোট
১২ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৫৭ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৩২
ঢাকা: বুয়েট ক্যাম্পাসে শুধু ছাত্রলীগের কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি বন্ধ করার দরকার ছিল। কিন্তু তা না করে বুয়েট ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সব ধরনের বিরোধী সংগঠিত শক্তিকে দমন করা হবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এটি সংগঠিত শক্তিকে দমনের হাতিয়ার বুয়েট প্রশাসনের।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে প্রগতিশীল জোটের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রতিক্রিয়া জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী।
কাদেরী বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত হয় তাতে সব ধরনের বিরোধী সংগঠিত শক্তিকে দমন করা হবে। এ নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র,বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমাজের যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদ, যে কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে বক্তব্য, মতামত দেওয়ার অধিকার দমন করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বুয়েট প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হলো।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পাসে দখলদারিত্ব এবং সন্ত্রাসের রাজনীতি করে ছাত্রলীগ। তাই সব সংগঠনের রাজনীতি বন্ধ না করে ছাত্রলীগের কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি বন্ধ করা উচিত ছিল। ক্যাম্পাসগুলোতে যদি অপরাজনীতি বন্ধ করা না হয়, তাহলে রাজনীতি নিষিদ্ধের মধ্যে দিয়ে খুনি উৎপাদন বন্ধ হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীরসহ অন্যরা।