‘আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট শিগগিরই’
১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:২১ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৪৯
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট শিগগিরই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, এই মামলায় একটি নিখুঁত ও নির্ভুল চার্জশিট দিয়ে এর বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে চায় সরকার।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আবরার হত্যার ঘটনায় সরকার ব্যথিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আবরার হত্যার অগ্রগতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে। পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ছবি দেখে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এর বাইরেও যদি কেউ জড়িত থাকে তাদেরও ধরা হবে। কেউ লুকিয়ে থাকতে পারবে না।’
আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা আরেক শিক্ষার্থী অমিত সাহা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় অমিতের জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও তাকে আটক করা হয়েছে। সরকার চায় না কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি পাক। তবে কোনো নেতা কিংবা দল নয়, এখানে অপরাধই মুখ্য। অপরাধ যার প্রমাণিত হবে, তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্রাবাস তল্লাশি করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই এ প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে। কোন ছাত্রাবাসে কি হচ্ছে বা হয়ে থাকে তা খুঁজে বের করতে এরই মধ্যে গোয়েন্দারা কাজ করছে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন টর্চার বেশি হয়ে থাকে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ওইসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এখন ভাবার সময় এসেছে। এ টর্চার বন্ধে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এ সময় ‘শুদ্ধি অভিযান’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয় তিনি বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতেই এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আর যারা মাত্রার বাইরে চলে গেছে, বিশেষ করে মদ, জুয়া, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করে, তাদের লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে।
‘বাংলাদেশে ক্যাসিনো ব্যবসা বৈধভাবে চালু করার চিন্তা সরকারের রয়েছে কী না?’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে ক্যাসিনো ব্যবসা অবৈধ। তাই চাইলেই করা সম্ভব নয়। তবে যেসব পর্যটন অঞ্চল হচ্ছে, সেসব স্থানে বিদেশি অতিথিদের বিনোদনের জন্য এমন ব্যবস্থা থাকতে পারে। তবে তা সংবিধানের বাইরে গিয়ে কখনও সম্ভব হবে না।’