চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭.২ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
১০ অক্টোবর ২০১৯ ১১:১৯ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৫৬
চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশ কম। এ বছর বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৮.২ শতাংশ। তবে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এক সংবাদসম্মেলনে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির ঢাকা অফিসের সিনিয়র ইকনোমিস্ট বার্নার্ড হ্যাভেন। এসময় বক্তব্য রাখেন কান্ট্রি ডাইরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমবন। আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক লিড ইকনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব প্রমুখ।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির মধ্যে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ, যা গত অর্থবছর সরকারি হিসেবে হয়েছিল ৩.৫ শতাংশ।
এছাড়া শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৯ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৩ শতাংশ। সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ৬.৫ পাঁচ শতাংশ।
মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অনেক প্রশংসার। এক্ষেত্রে সংখ্যা কোনো বিষয় নয়। ইতিবাচক উন্নতি যে হচ্ছে এটিই অনেক বড় ব্যাপার। তাছাড়া দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। গ্রামীণ অর্থনীতি ভাল করছে। তবে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য চলমান সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা, রফতানি বহুমুখীকরণ, খেলাপি ঋণ কমিয়ে নিয়ে আসা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিশেষ নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগীটার সক্ষমতা বাড়াতে ডুয়িং বিজনেস পরিবেশ উন্নত করতে হবে। কর্মসংস্থানমখী শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই জরুরী। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই।