Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

থানায় জিডি, ক্যাম্পাসে তদন্ত কমিটি বুয়েট প্রশাসনের


৭ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৩৫ | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৩২

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের আর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এত বড় একটি ঘটনায় প্রশাসনের এমন ‘উদ্যোগ’ কোনোভাবেই দায়িত্বশীলতার পর্যায়ে পড়ে না।

আরও পড়ুন- শরীরে বাঁশ-স্টাম্পের আঘাত, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মৃত্যু

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর এক ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’তে জিডি দায়ের ও তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য জানায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এদিন ভোর ৪টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ির নিচ থেকে আবরারের নিথর দেহ উদ্ধার করেন শিক্ষার্থীরা। বুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার থাকতেন শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে। হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।

এ ঘটনায় সারাদিন বিক্ষুব্ধ ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। সহপাঠীকে হত্যার বিচারের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের দুই অতিরিক্ত কমিশনার ক্যাম্পাসে গেলে আবরার হত্যার ঘটনার সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে শিক্ষার্থীদের কাছে ফুটেজ হস্তান্তর করে তবেই ছাড়া পান পুলিশের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন উত্তাল, তখন সন্ধ্যায় ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’তে বুয়েট কর্তৃপক্ষ আবরার হত্যার ঘটনাকে ‘অনাকা  ঙ্ক্ষিত’ ও ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমানের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু’র ঘটনায় চকবাজার থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডি’র ধারাবাহিকতায় পুলিশ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা বিষয়ে ৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আবরার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তদন্ত কার্যক্রমে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এরই মধ্যে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি স্বীকার করেছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এতে জড়িত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ও জানিয়েছেন, এ ঘটনা ‘তদন্ত’ করতে কমিটি গঠন করেছে ছাত্রলীগ। তিনি বলেন, আবরার হত্যায় ছাত্রলীগের কেউ বিন্দুমাত্র জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবরারকে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ৯ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন— বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন এবং ছাত্রলীগ নেতা রবিন, মুন্না, তানভীরুল আরেফিন ইথান, অমিত সাহা ও আল জামি।

আবরার হত্যা আবরার হত্যাকাণ্ড টপ নিউজ তদন্ত কমিটি থানায় জিডি বুয়েট বুয়েট কর্তৃপক্ষ বুয়েট প্রশাসন

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর