জামায়াত নেতার বাসা থেকে আটক হন সম্রাট
৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৪৯ | আপডেট: ৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪০
ঢাকা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এক জামায়াত নেতার বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আলকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এক এম গোলাম ফারুক।
এদিকে, র্যাব থেকে জানা গেছে, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই কুমিল্লা গিয়েছিলেন সম্রাট। শিগগিরই সম্রাটকে নিয়ে তার বাড্ডা ও মহাখালীর বাসায় অভিযান চালানো হবে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আলকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এক এম গোলাম ফারুক বলেন, ‘ফেনী পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিনের বোন জামাই মনির চৌধুরী চক্কার বাসা থেকেই সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। মুনির চৌধুরী জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একজন জামায়াতের নেতার বাড়িতে সম্রাট কিভাবে গেল তা স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলছে। মনির চৌধুরী চক্কা স্টারলাইন গ্রপের পরিচালক। তার বাসাতেই রাত ১২টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চলে।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি প্রণব কুমার সাহা বলেন, চৌদ্দগ্রামের বেশিরভাগ মানুষই জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত। এর আগে এখান থেকে এমপিও হয়েছেন জামায়াত থেকেই। তবে চক্কার রাজনীতির পুরো ইতিহাস ওসি জানেন না বলে দাবি করেন।
যুবলীগ থেকে সম্রাট ও আরমান বহিষ্কার
৯ দিন আগে ঢাকা ছাড়েন সম্রাট, একাধিকবার চেষ্টা ভারতে পালানোর
জানা গেছে, ফেনী পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিনের বোন জামাই মনির চৌধুরী চক্কার বাসা থেকে ভারতের দূরত্ব খুবই সামান্য। সেখান থেকে ভোরে সম্রাটকে আটকের পর রাজধানীর উত্তরা র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আনা হয়।
র্যাব থেকে জানা গেছে, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সম্রাট। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই কুমিল্লায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। এতে ভারতে যাওয়া তার জন্য সহজ হতো। সম্রাটের আটক হওয়া সেই বাড়ি থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করেছে র্যাব। এই অস্ত্র সম্রাটের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
র্যাব আরো জানায়, সম্রাটের তিন স্ত্রী। একজন মহাখালী ডিওএইচএসে থাকেন, একজন বাড্ডা আরেকজন সিঙ্গাপুরে থাকেন। সম্রাট নিয়মিতই স্ত্রীদের কাছে যেতেন। তবে কিছুদিন ধরে তিনি কাকরাইল অফিসেই অবস্থান করছিলেন। সম্রাটকে নিয়ে তার মহাখালী ও বাড্ডার বাসায় অভিযান চালানো হতে পারে।
সম্রাটের নামে চাঁদাবাজি, মানিলন্ডারিং, অবৈধ অস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি মামলা হতে পারে বলেও জানায় র্যাব।
রোববার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করে র্যাব। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর তিন সপ্তাহ পর আটক হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের এই সভাপতি ও তার সহযোগী।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, ক্যাসিনোবিরোধী চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সম্রাট ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।