পূজামণ্ডপে গিয়ে ময়লা পরিষ্কার করলেন মেয়র আতিক
৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:৫৪
ঢাকা: পূজামণ্ডপে ব্যস্ত সবাই। হঠাৎ নজরে পড়ল একজন ব্যক্তি যিনি পূজামণ্ডপের বাইরে পড়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার করছেন। একটু সামনে গিয়েই সবাই অবাক। ময়লা পরিষ্কার যিনি করছেন তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এটি কোনো নির্ধারিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি নয়। মুখে ছিল না মাস্ক, ছিল না হাতে গ্লাভস। এসেছিলেন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে আর সেখানে এসেই এক ধরনের প্রতীকী কর্মসূচি চালালেন তিনি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সর্বজনীন দুর্গা পূজা পরিদর্শনে যান।
শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে তিনি যাচ্ছেন বিভিন্ন পূজামণ্ডপে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দুর্গাপূজায় গিয়ে তিনি সেখানে থাকা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেখান নিজের উদ্যোগেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি চালান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য সুন্দর ঢাকা গড়ে তুলতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে হবে। নগরের সার্বিক উন্নয়নে আমি জনগণের সহযোগী হিসেবে পাশে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সকল ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আছে তা বজায় থাকবে এবং আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলব জাতির পিতার স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ যে লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।’
মেয়রের এমন উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে উপস্থিত সবার। বসুন্ধরা সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রীবাস রয় অপু এ সময় মেয়রকে পাশে রেখে উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে পূজা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখতে অঙ্গীকার করার কথা বলেন এবং উপস্থিত দর্শনার্থীরা হাত তুলে তাতে সাড়া দিয়ে অঙ্গীকার করেন।
পরে শ্রীবাস রয় অপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘পূজামণ্ডপে গিয়ে গিয়ে মেয়র মহোদয় যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি চালাচ্ছেন তা প্রশংসা যোগ্য। আমরা যদি নিজেদের চারপাশ নিজেরাই পরিষ্কার রাখতে পারি তবে বিশ্বের বুকে এই ঢাকা শহর পরিচিত হয়ে উঠবে একটি পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে। আর তা আমাদের সবার সচেতনতা বাড়ানো খুবই জরুরি। মেয়র মহোদয়ের এমন উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’
রামপুরা থেকে বসুন্ধরা এলাকার পূজো দেখতে আসা তুষার পাল বলেন, মেয়রের এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি যেভাবে প্রতিটি পূজামণ্ডপে যাচ্ছেন তা নগরের বাসিন্দাদের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির সেতুবন্ধকে আরও দৃঢ় করে তুলবে।’