জি কে শামীম ফের রিমান্ডে
২ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৩৭ | আপডেট: ২ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:২৯
ঢাকা: যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ টাকা রাখার অভিযোগের আলাদা দুই মামলায় ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।
এ সময় মামলাটি দুটির তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিকে আদালত হাজির করে আলাদা দুটি রিমান্ড আবেদন করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মানিলন্ডারিং আইনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ ১০ দিনের রিম্যান্ড আবেদন করেন। এছাড়া অস্ত্র আইনে র্যাব -১ এর উপ পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এসময় আসামির পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধীতা করেন। উভর পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের মামলা ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা রয়েছে। জি কে শামীমের অফিসের লোহার সিন্দুক থেকে নগদ অর্থ, চেক বই, এফডিআর ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। সেখানে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৯ হাজার ইউএস ডলার পাওয়া যায়।
এছাড়া আসামির মায়ের নামে ১০টি এফডিআরে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও চেক বইয়ের পাতা জব্দ করা হয়। র্যাবের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অর্থ পাচার আইনের এ মামলাটি করেন। ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রকাশ পায়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হলেও ব্যাপক তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে, শনিবার অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীমকে ( জি কে শামীম) ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়েছে। শামীমের কাছে একটি অস্ত্রও পাওয়া গেছে।