৫০০ সৌদি সেনাকে হত্যার দাবি হুথিদের
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:৩০ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫৯
ঢাকা: ইয়েমেন ও সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী এলাকা নাজরানে বড় ধরনের অভিযানে সৌদি আরবের অন্তত ৫০০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে হুথিদের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সৌদি সেনা হত্যা ও গ্রেফতারের দাবির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে স্থির চিত্র ও অসম্পূর্ণ ভিডিও উপস্থাপন করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এছাড়াও দুই হাজার সেনাকে আটক ও সামরিক বাহিনীর যানবাহনের একটি বহরকে জব্দের কথাও জানিয়েছে তারা। ছবিতে ‘সৌদি সেনারা’ নিজস্ব বাহিনীর পোশাক পরা নয়। তাই হুথিদের দাবি সত্য কি না তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া সৌদি আরব কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
উল্টে যাওয়া সৌদি যান, স্থির দাঁড়িয়ে থাকা সৌদি সেনা বহরের যানবাহনের ছবি দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দক্ষিণ নাজরান অঞ্চলে গত তিন দিন ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা আরও তীব্রতার সঙ্গে চলবে।
হুতিদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম বলেন, ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় একটি সামরিক বিজয় হয়েছে। শত্রুরা মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। মাত্র অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বিশাল অঞ্চল শত্রুর হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে শত শত সেনা মৃত ও আহত অবস্থায় পড়ে আছে বলে দাবি করেন তিনি। আবদুল সালাম বলেন, ইয়েমেন থেকে কীভাবে সৌদি আরব সেনা প্রত্যাহার করবে তা বিবেচনা করতে হবে। অন্যথায় হুথিরা হামলা বন্ধ করবে না। সৌদি আরব যদি সেনা প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে হামলা বন্ধ হবে।
হুথিরা ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বি মানসুর আল হাদিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলে সৌদি নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় জোট হাদির পক্ষ নেয়। ২০১৫ সালে সৌদি আরব ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ করে। উপসাগরীয় জোট ইয়েমেনে নতুন সরকার বসাতে চাইছে, কিন্তু হুথিদের বাধার মুখে তা সম্ভব হচ্ছে না।
২০১৫ সাল থেকে হুতিদের বিরুদ্ধে অব্যাহত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এতে নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনীতি এরইমধ্যে ভেঙে পড়েছে। দেশটিতে অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে।