রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইন্দোনেশিয়ার ৪ প্রস্তাব
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩৬ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩৯
ঢাকা: চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে চারটি প্রস্তাব দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান।
টুইট বার্তায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) জাতিসংঘ কার্যালয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। যেখানে আমি ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চারটি পদক্ষেপ নিতে হবে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে- রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনভাবে চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে হবে; আস্থার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংলাপ চালাতে হবে; রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপ চালাতে হবে।’
এদিকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিউইয়র্কে ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ, চীন এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় চীনকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী অক্টোবরে এই ত্রিপক্ষীয় কমিটি আবার বৈঠকে বসবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার উভয়েই চীনের ওপর আস্থা রেখেছে। চীনের মধ্যস্থতা ও উপস্থিতিতে এরই মধ্যে দুই দেশ একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছে। সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। এই সংকট কাটাতে চীনের উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে জানিয়েছে যে, প্রত্যাবাসনের জন্য কোনো অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেনি মিয়ানমার। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকার আন্তরিক নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে মিয়ানমারের ১২ লাখেরও বেশি নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। রাখাইন সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। তুমুল সমালোচনা করছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, কুয়েত, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পুরো বিশ্ব।