Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সঞ্চয়ীদের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, উচ্চমান সহকারী আটক


২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৪৫ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৫৩

নওগাঁ: নওগাঁয় সঞ্চয়ীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সঞ্চয় অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. হাসান আলীকে গ্রেফতার করেছে দুদক। তার কাছ থেকে সঞ্চয়ীদের আত্মসাৎ হওয়া প্রায় আড়াই কোটি টাকার মধ্যে ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে দুদক। পরে নওগাঁ সদর থানার পুলিশ তাকে জেলা হাজতে পাঠায়।

দুদকের কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জাতীয় সঞ্চয় অফিস, নওগাঁ থেকে ৬২ জন সঞ্চয়ীর দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকা লাপাত্তা হয়েছে উল্লেখ করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন। ওই মামলার তদন্ত করতে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে হাসান আলীর জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে।

আলমগীর হোসেন বলেন, মামলার তদন্তে প্রথমে সঞ্চয় অফিসের অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়। গোপন সূত্রে দুদকও কিছু তথ্য পায়। তাতে জানা যায়, সঞ্চয় অফিসের উচ্চমান সহকারী হাসান আলী এ ঘটনায় জড়িত। তার অফিসের আলমারিতেই আত্মসাৎ করা টাকা আছে বলেও জানা যায়।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন নওগাঁয় সঞ্চয় অফিসে দিনব্যপী তল্লাশি চালান। এসময় হাসান আলীর আলমারি থেকে ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, নওগাঁয় জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরে গ্রাহকদের সোয়া দুই কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে বিভাগীয় অডিটে। এ ঘটনায় অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে দায়ী করা হয় অফিস সহায়ক সাদ্দামকে। এ ঘটনায় নওগাঁ সঞ্চয় অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত সঞ্চয় কর্মকর্তা নাসির হোসেন বাদী হয়ে গত ১৫ জুন সাদ্দামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

নওগাঁ সঞ্চয় অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এই অফিসে ২০১৪ সাল থেকে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত সাদ্দাম হোসেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে হঠাৎ করে তিনি অফিসে আসা বন্ধ করে দেন। দীর্ঘ সাত মাস তিনি অনুপস্থিত থাকেন। অধিদফতরের অভিযোগ, সাদ্দাম বেশকিছু আমানতের হিসাবের রেকর্ড না রেখে গ্রাহককে ভুয়া সিল-সইয়ে রশিদ দিয়েছেন। আর এর মাধ্যমে সোয়া দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।

অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন গাইবান্ধা জেলা সদরের পশ্চিম কোমরনই গ্রামের বক্তার আলীর ছেলে। গত ২৫ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল তাকে আটক করে। বর্তমানে দুদক এ মামলার তদন্ত করছে।

অর্থ আত্মসাৎ উচ্চমান সহকারী উচ্চমান সহকারী আটক টপ নিউজ সঞ্চয়ীদের অর্থ আত্মসাৎ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর