Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারের গলার স্বর কমে গেছে: ফখরুল


২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:৪১ | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:৪৮

ফাইল ছবি

ঢাকা: দলীয় লোকদের দুর্নীতির বিষয়টি সামনে চলে আসায় সরকারের গলার স্বর কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার যেভাবে জোর গলায় কথা বলত, এখন তারা নিজেরাই ধরা পড়ে গেছে। আমাদের অপেক্ষা করতে হয় নাই। তাদের লোকেরাই সব ধরিয়ে দিচ্ছে, ধরা পড়ছে তারা। তাই এখন তাদের স্বরটা কমে আসছে।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন। তাই এখন আর গলাবাজী না করে পদত্যাগ করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণকে রেহাই দিন, স্বস্তি দিন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গোটা দেশে এখন একটাই আলোচনা- সেটা হচ্ছে ক্যাসিনো-জুয়া। সারাদেশে এই জুয়া চলছে। এই সরকারের আমলে এটা প্রচণ্ড রকমে বেড়ে গেছে। বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণটা হচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই কোথাও।’

তিনি বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর যাদেরকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করেছে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণই করতে পারছে না। যে কারণে এই পরিস্থিতি এরাইজ করেছে। না পারছে নিজের দল, না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, না অন্য কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে। অর্থাৎ সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এই সরকারের কোনো লেজিটিমেট রাইট নেই ক্ষমতায় থাকার। তারা সচেতনভাবে এটাকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, ব্যর্থ রাষ্ট্রের কারণেই সমস্ত অরগান ফেইল করে যাচ্ছে, ভেঙে পড়ছে, কাজ করছে না।’

খালেদার শারীরিক অবস্থা ভাল নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখান থেকে বেরিয়ে তার বোন বলেছেন যে, তিনি (খালেদা জিয়া) অত্যন্ত অসুস্থ, আগের চেয়ে অনেক বেশি অসুস্থ। উনি শুকিয়ে গেছেন এবং তিনি এখন নিজে খেতেও পারছেন না, তাকে খাইয়ে দিতে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি যে, তার চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তিনি যেখানে ভাল চিকিৎসা করতে চাইবেন, সেখানেই তিনি করবেন। সেখানে সরকার কোনো কথাই শুনছে না। আমরা উচ্চ আদালতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে পূর্নাঙ্গ কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো করা হচ্ছে তার জামিন বিলম্বিত করার জন্য। সরকার জেনে শুনে এটা করছে। উদ্দেশ্যটা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গণ থেকে দূরে রাখা এবং একই সঙ্গে ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি চাই, আইনগতভাবে চাই, জামিনের মাধ্যমে চাই।’

মির্জা ফখরুল জানান, ‘ছাত্রদলের কাউন্সিল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। কারণ, তার নেতৃত্বে ও ব্যাপক প্রচেষ্টায় এটা সফল হয়েছে। একই সঙ্গে মির্জা আব্বাসকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। কারণ, তার বাসায় এই কাউন্সিলটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান।

টপ নিউজ বিএনপি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর