‘অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে’
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:০১
ঢাকা: নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গোপসাগর মৎস্য ও খনিজসহ বিভিন্ন সম্পদে পরিপূর্ণ। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এই সম্পদকে কাজে লাগানোর কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীতে নৌ সদর দফতরে দেশের মেরিটাইম খাতে গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিমরাড) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমুদ্র নিরাপত্তা ও ব্লু-ইকোনমিবিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং।
সেমিনারে বাংলাদেশের সমুদ্র নিরাপত্তা ও সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে কি-নোট উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রাশেদ উজ জামান ও রিয়ার অ্যাডমিরাল এ এস এম এ আওয়াল।
সেমিনারে আওরঙ্গজেব চৌধুরী বলেন, সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে প্রথম সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ করেন। পাশাপাশি সমুদ্র সীমানায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। এটি অনেক সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত ছিল। এরপরই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ‘মেরিটাইম বিশেষজ্ঞদের টেকসই উন্নয়ন সমুদ্রনিরাপত্তা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণের পথকে আরও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিমরাড গবেষণা, উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, মতবিনিময় ও পলিসিগুলোর সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে জাতির মেরিটাইম কমিউনিটির প্রত্যাশাও পূরণ করবে।’
বিমরাড-এর চেয়ারম্যান, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ সেমিনারে আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া দেশ-বিদেশের মেরিটাইম কমিউনিটি, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় থিংক ট্যাংক হিসেবে বিমরাড কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পরে বিমরাড কর্তৃক প্রকাশিত ‘মেরিটাইম গুড গভর্নেন্স টুয়ার্ডস সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট’ শিরোনামের একটি জার্নালের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বিমরাডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অন্যান্যের মধ্যে নৌবাহিনীর সাবেক প্রধানরা, সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা, ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিকরা, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার নীতি নির্ধারক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিমরাড) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সেবাধর্মী ও অলাভজনক সমুদ্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের ৩ জুলাই এটি যাত্রা শুরু করে।