রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি: গ্রেফতার ইসি কর্মী ৫ দিনের রিমান্ডে
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৫৪ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৫৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কর্মচারী মোস্তফা ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজমের পক্ষ থেকে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেহ মোহাম্মদ নোমানের আদালতে মামলার শুনানি হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাতদিনের রিমান্ডের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিন মঞ্জুর করেছেন। আদালত থেকেই মোস্তফা ফারুককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্যালয়ে ডেকে নেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া। শুক্রবার তাকে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া এ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারের আগে মোস্তফা ফারুকের নগরীর হামজারবাগের বাসায় অভিযান চালিয়ে নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা ল্যাপটপ, মডেম ও পেনড্রাইভ, সিগনেচার প্যাড ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার মোস্তফা ফারুক (৩৬) ফেনী সদর উপজেলার দমদমা গ্রামের মো. ইলিয়াছের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৯’ এ যুক্ত আছেন। ভুয়া তথ্য দেওয়া ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া মোস্তফা ফারুককে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন বছরের মাথায় আবারও তাকে একই দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
খোয়া যাওয়া নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্তি এবং এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে জয়নালসহ তিনজনকে আটক করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে দেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপও। এরপর রাতেই কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই মামলায় জয়নালকে তিনদিন এবং বাকি দু’জনকে একদিন করে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি পায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। জয়নালকে এখনও হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। বাকি দু’জন বিজয় দাশ ও সীমা দাশকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।