Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিক্ষায় অবদানে ‘ইদান’ পুরস্কার পাচ্ছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ


১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:০৭ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:১৮

ঢাকা: শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘ইদান’ পুরস্কারের জন্য এ বছর মনোনীত হয়েছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার অ্যামেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদ। শিক্ষা উন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রাখায় তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করে হংকংভিত্তিক ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন।

গত প্রায় পাঁচ দশকে ব্র্যাকের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষা নিয়েছে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ শিশু। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে আনন্দময় পরিবেশে খেলাধুলার মধ্য দিয়ে পাঠদান করা হয়। একে বলা হয় প্লে-বেইজড এডুকেশন। ব্র্যাক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষাকেন্দ্র এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ, উগান্ডা ও তানজানিয়ায় ব্র্যাকের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে মোট ৬৫৬টি প্লে-ল্যাব যেখানে প্রতিদিন নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে অন্তত ১১ হাজার ৫শ শিশু। এছাড়াও, শরণার্থী শিশুরা যাতে শিক্ষার মাধ্যমে মানসিক ক্ষত কাঠিয়ে উঠতে পারে, সে উদ্দেশ্যে হিউম্যানিটারিয়ান প্লে-ল্যাব নামে একটি মডেল তৈরি করেছে ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট।

আসছে ডিসেম্বরে হংকং-এ ইদান প্রাইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে একটি স্বর্ণপদক এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ ৩০ মিলিয়ন হংকং ডলার বা ৩৩ কোটি টাকা দেওয়া হবে। পুরস্কারের অর্থ নগদ এবং প্রকল্প তহবিল দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে শৈশবেই অনুকূল পরিবেশে শেখার সুযোগ করে দেয়াটা জরুরি। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য খেলায় খেলায় শিক্ষালাভের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে থাকে ব্র্যাক। এর মধ্যে শরণার্থী শিবিরের শিশুরাও আছে যারা নানাবিধ মানসিক সমস্যা নিয়ে বড় হচ্ছে। শৈশবেই খেলাধুলা এবং হাসিখুশি থাকার পর্যাপ্ত সুযোগ দিলে তারাও সুস্থ মানুষ হিসেবে বড় হয়ে উঠতে পারবে। আমি আশা করি, বিশ্বনেতৃবৃন্দ এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এর উন্নয়ন ও প্রসারে এগিয়ে আসবেন।’

স্যার ফজলে হাসান আরো বলেন, ‘ইদান পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ ব্র্যাকের শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তারে বিশেষ সহায়ক হবে। এই তহবিল আমরা দুটি কাজে ব্যয় করবো: প্রথমত আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করতে এবং দ্বিতীয়ত আরও নতুন নতুন প্লে ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে।

ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন দুটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কারটি দিয়ে থাকে। এর একটি হচ্ছে শিক্ষা গবেষণা, এ বছর যেটি পাচ্ছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। অপরটি শিক্ষা উন্নয়ন। এ বছর সেই পুরষ্কারটি পাচ্ছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কগনিটিভ ডেভেলপমেন্টাল নিউরোসায়েন্স-এর অধ্যাপক ঊষা গোস্বামী।

টপ নিউজ স্যার ফজলে হাসান আবেদ

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল, নিহত ৫
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর