Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইরানের বিরুদ্ধে সচিত্র প্রমাণ হাজির করেছে যুক্তরাষ্ট্র


১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১৩ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১৭

শুরুতে তো কেবল সন্দেহের বশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থা আরামকোর দুটি স্থাপনায় হামলার জন্যে ইরানকে দায়ী করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত নিজেদের সন্দেহের বিপরীতে প্রমাণও হাজির করেছে তারা।

প্রমাণ হিসেবে স্যাটেলাইট থেকে তোলা কিছু ছবিও সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি জানিয়েছেন, শনিবারের ওই হামলার দায় হুতি বিদ্রোহীরা নিয়েছিল। তারা জানিয়েছিল ইয়েমেন থেকে হামলাটি চালানো হয়। কিন্তু প্রাথমিক অনুসন্ধান বলছে অন্য কথা।

এই মুখপাত্র বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত বলছে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো ইরানের তৈরি এবং সেগুলো ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া হয়নি। যদিও হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে সেগুলো ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন আমরা অস্ত্রগুলোর নিক্ষেপস্থল বের করতে চেষ্টা করছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এসব হামলা উল্টো দিক থেকে চালানো হচ্ছে বলে ধারণা করছে মার্কিন সরকার। এছাড়া এগুলো ইয়েমেনের দিক থেকে চালানো হয়নি বলেও তাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এছাড়া শুধু ড্রোন দিয়ে নয়, ক্রুজ মিসাইল হামলাও চালানো হয়েছে বলে দাবি তাদের। তারা বলছেন, যেদিন থেকেই হামলা হোক না কেন, এর দায় কেবল ইরানের।

হামলার পরদিন রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই হামলার দায় যে ইরানের তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আপনি যেভাবেই এটিকে দ্যাখেন না কেন, ফলাফল একই। আর কারও দিকে নয়, অভিযোগ উঠবে কেবল ইরানের বিরুদ্ধেই।’

তবে প্রথম থেকেই হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারেয়া দাবি করে আসছেন যে, এই হামলা তাদেরই চালানো। কিছু ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। এসব ড্রোনের কয়েকটি আবার ছিল জ্বালানিচালিত। সেইসঙ্গে আরও হামলার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই দেশদুটির মধ্যে বিভিন্নভাবে ছায়াযুদ্ধ চলছে। এমনকি এই যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনেও। যেখানে হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি সামরিক বাহিনী চার বছর ধরে লড়ছে। ইরান এই হুতি বিদ্রোহীদের মদদ দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবারের ওই হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম একলাফে বেড়েছে। কারণ এই হামলার ফলে তেলের সরবরাহে টান পড়েছে। আরামকোর দুইটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এক মাসের মতো সময় লেগে যেতে পারে।

 

 

 

আরামকো ইরান টপ নিউজ সৌদি আরব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর