রংপুরে লড়াই জাপা-বিএনপির, সরে গেল আ.লীগ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:২২ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:০১
রংপুর: রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। এতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির মধ্যেই এই আসনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল। তবে রাজুর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণায় বিক্ষোভ করেছেন তার অনুসারী নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন রেজাউল করিম রাজু।
আরও পড়ুন- রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন পেছাতে সিইসিকে স্মারকলিপি
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দীন এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রংপুর-৩ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম রাজু সশরীরে হাজির হয়ে তার মনোনয়পত্রটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর রেজাউল করিম রাজু সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে এই নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা হয়তো পূরণ করতে পারলাম না, তবে আমি কথা দিলাম, রংপুরবাসীর পাশে থেকে তাদের জন্য সারাজীবন কাজ করব। তবে এসময় তিনি দলের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলেননি।
এর আগে, সোমবার বিকেলে কেন্দ্র থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীর কাচারি বাজারে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম রাজু স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে পৌঁছান।
এ বিষয়ে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল সারাবাংলাকে বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর গণভবনে রংপুর উপনির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী দিয়েছিলেন রেজাউল করিম রাজুকে। তবে সেদিন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বড় দল হিসেবে আমাদের প্রার্থী দিতে হয়, তাই দিলাম। আবার যেহেতু জাতীয় পার্টি আমাদের মহাজোটের অংশ, তাই এই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে— এমন সিদ্ধান্ত আগেই ছিল। আমরা জোটগত নির্বাচন করব।
জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এই আসনে উপনির্বাচনের জন্য ৫ অক্টোবর তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই আসনে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে এরশাদপুত্র সাদ এরশাদকে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় এই আসনে এখন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে মহাজোট হিসেবেই নির্বাচন করবে সংসদের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল। আর এই আসনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের (এনপিপিবি) চেয়ারম্যান রিটা রহমানকে। এই দু’জনের মধ্যেই এখন এই উপনির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এছাড়া এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই নির্বাচনে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাপা-বিএনপি টপ নিউজ মনোনয়ন প্রত্যাহার রংপুর-৩ উপনির্বাচন